ডিও/বিএলও ডিউটি নিয়ে বড়সড় সুখবর রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য, জানুন বিস্তারিত কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য September 5, 2019 ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজারের ডিউটি নিয়ে গত বছর থেকেই রাজ্য রাজনীতি কার্যত সরগরম! নামমাত্র পারিশ্রমিক দিয়ে দিনের পর দিন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের দিয়ে এই কাজ করানো হয়, অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করানো যাবে না। এর ফলে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অধিকার। আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর ডিও/বিএলও-এর ট্রেনিং-এর সময় নদীয়ার এক শিক্ষক এই নিয়ে বিডিওকে প্রশ্ন করলে, তাঁর অনুগামীদের হাতে তাঁকে হেনস্থা হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষককূলের গণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ – আজও রাজ্য রাজনীতির আকাশে উজ্জ্বল। এমনকি, এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের একাংশ গতবছর হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অধিকার রক্ষায় মরিয়া হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কলকাতা হাইকোর্টও সওয়াল-জবাবের শেষে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করানো যাবে না। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন থাকায়, এরপরেও নির্বাচন কমিশন কার্যত শিক্ষকদের অনুরোধ করে – এই কাজ সমাপ্ত করতে বলে। তবে একই সঙ্গে শিক্ষকদের কথা দেওয়া হয়, এই বছর থেকে এই কাজে আর তাঁদেরকে নিযুক্ত করা হবে না। কিন্তু এ বছরও দেখা যাচ্ছে ডিও/বিএলও ডিউটি নিয়ে শিক্ষকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে যাচ্ছে। আর এর ফলে কল্যাণী দু’নম্বর চক্রের শিক্ষকরা গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের আহ্বায়ক জয়ন্ত মুখার্জী জানান, গতকালের আলোচনা সবদিক থেকেই সদর্থক হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের জমা দেওয়া সমস্ত নথি দেখেছে এবং জানিয়েছে শিক্ষকদের দাবি রীতিমতো যুক্তিসঙ্গত। জয়ন্তবাবুর দাবি, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সেই সব নথি ও তাঁদের জমা দেওয়া স্মারকলিপি দিল্লিতে সদরদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও নির্বাচন কমিশন সূত্রে তাঁদের জানিয়েছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, যেহেতু এই ধরনের কাজ করার জন্য উপযুক্ত কর্মী অপ্রতুল – তাই আগামী দিনে পুরো ব্যবস্থাটাই অনলাইনে করা হবে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে রাজ্যের শিক্ষকদের অন্তত ডিও/বিএলও ডিউটির হাত থেকে মুক্তি ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে সবাই যখন আনন্দে মাতোয়ারা, তখন এই ধরনের কাজ নিয়ে নিজেদের পরিবারকে যেমন বঞ্চিত করতে হচ্ছিল শিক্ষকদের, ঠিক তেমনই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। কিন্তু কল্যাণী দু’নম্বর চক্রের শিক্ষকদের সৌজন্যে শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -