এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলবদলের হিড়িক বন্ধ, ভরাডুবির পর তৃণমূলমুখী নেতা নেত্রীদের নিয়ে প্রশ্ন বিজেপিতে! সোচ্চার দলের একাংশ!

দলবদলের হিড়িক বন্ধ, ভরাডুবির পর তৃণমূলমুখী নেতা নেত্রীদের নিয়ে প্রশ্ন বিজেপিতে! সোচ্চার দলের একাংশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেউ টিকিট পাওয়ার জন্য, আবার কেউ বা শান্তিতে রাজনীতি করবার জন্য বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছিলেন। তৃণমূল থেকে দাপুটে নেতা-নেত্রী সহ বাংলা সিনেমা জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা অভিনেত্রী যোগদান করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। আর অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্ট মুখ, সকলকেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে সন্তুষ্ট রেখেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 200 আসনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি আটকে গিয়েছে 77 টি আসন দখল করে। আর এরপরই রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলের ভূমিকা নিয়ে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা অন্য দল থেকে এসেছিলেন, তাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্য বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে। আর একসময় বিজেপি নেতা, নেত্রীদের আসার হিড়িক থাকলেও, এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা এখন আবার মোহভঙ্গ হয়ে তৃণমূলের ফিরে যাওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন সোনালী গুহ থেকে শুরু করে অমল আচার্য, সরলা মুর্মুর মত নেতা নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করে দলে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য আর্জি জানিয়েছেন।

যদিও বা তৃণমূল নেতাদের ফেরার রাস্তা যে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ, তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বিজেপির গঠনতন্ত্র এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এখন ক্রমাগত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের একাংশের মধ্যে। অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে রাজ্য নেতৃত্ব পুরনো কর্মীদের পেছনে ফেলে নতুন দলে আসা নেতা-নেত্রীদের টিকিট দিয়েছিল, তারা এখন কোথায়! দুর্দিনে দলের পাশে রয়েছে দলের পুরোনো কর্মীরা।

সেক্ষেত্রে যদি বিধানসভা নির্বাচনে দলের পুরোনো নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে তাদের অনেককে টিকিট দেওয়া হত, তাহলে হয়ত এত বাড়াবাড়ি হত না। বারবার দলবদল করা নেতা-নেত্রীদের উপর বাংলার মানুষ যে ভরসা রাখে না এবং তাদেরকে বিজেপি আশ্রয় দেওয়ার কারণে বিজেপিও যে ভালো ফলাফল করতে পারেনি, তা এবারের নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই বর্তমানে সেই সমস্ত অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের দেখা না মেলায় রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অনেকে।

আর সেই প্রশ্ন সামাল দিতে এখন রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। কেন বুঝেশুনে দলে নেওয়া হল না সঠিক নেতাকর্মীদের? যাদেরকে দলে নেওয়া হল, ভরাডুবি হওয়ার পর তাদেরকে কেন দেখা যাচ্ছে না? কেন আবার অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতে শুরু করেছেন? তাহলে কি এটা রাজ্য নেতৃত্বের ভুল নয়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অন্য দল ছেড়ে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করতে চেয়েছেন, আমরা তাদের সম্মানের সঙ্গে দলে নিয়েছি। তারা কেন এখন ছেড়ে যাচ্ছেন, তারাই বলতে পারবেন। এটা তাদের সমস্যা। বহু রাজ্যে এভাবে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের জায়গা দিয়েছে বিজেপি। কিছু লোকের চলে যাওয়ার কারণে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।”

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভরাডুবির পর দলে বহু আলোচনা হয়েছে। তবে সেই আলোচনায় সবথেকে বেশি উঠে এসেছে অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের বেশি পরিমাণে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। দুর্দিনে যারা বিজেপির হয়ে লড়াই করে মাঠে ময়দানে থেকেছে, কেন তাদেরকে এবারের নির্বাচনের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। সেদিক থেকে অনেক সেলিব্রিটি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করা হলেও ভোটের পর তারা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে, দলে একের পর এক নেতা নেত্রীদের গ্রহণ করা নিয়ে। ভরাডুবির পর যদি তারা দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন, তাহলে হয়ত বা এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারত না। কিন্তু এভাবে একের পর এক নেতা নেত্রী দলবদল করার ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন, তাতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যাকে সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে দিলীপ ঘোষদের বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে পথ চলার ক্ষেত্রে বিজেপি কি পদ্ধতি প্রয়োগ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!