এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে একনায়কতন্ত্র চলছে! হেভিওয়েট সংখ্যালঘু নেতার বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম ঘাসফুল পরিবারে

দলে একনায়কতন্ত্র চলছে! হেভিওয়েট সংখ্যালঘু নেতার বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম ঘাসফুল পরিবারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটি তৃণমূল দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লড়াই হতে চলেছে। দলের সম্মান রক্ষার এই লড়াইয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলার নির্দেশ একাধিকবার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু তা স্বত্তেও রোধ করা যাচ্ছে না দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে। যা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে দুরারোগ্য ব্যাধির আকার নিয়েছে কোচবিহারে। কোচবিহারে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার চলে এসেছে প্রকাশ্যে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ আনলেন তৃণমূল দলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁ।

প্রসঙ্গত, কোচবিহারে তৃণমূল দলের নতুন ব্লক ও জেলা কমিটি গঠনের পর খোকন মিয়াঁকে দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাঁর সঙ্গে দলের একাধিক জেলাস্তরীয় নেতার রয়েছে সুসম্পর্ক। কিছুদিনই আগে হরিণচওড়ার ফুটবল মাঠে একটি বিরাট সভার আয়োজন করে তিনি তৃণমূল দলের নতুন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তিনি তৃণমূল দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দিলেন। অনেকে মনে করছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে উদ্দেশ্য করেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতির বক্তব্য, ” তিনি কী বলেছেন আমি জানি না। আমাকে কিছু বলেননি। তাঁর সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূল দলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁ জানালেন যে, দলের জেলা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিধায়ককে না জানিয়ে তাঁর এলাকায় কোন দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা চলবে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরা একটি বৈঠক করেছেন। খোকন মিয়াঁ সেই ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হলেও তাঁকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি, জানানো হয়নি সংশ্লিষ্ট বিধায়ককেও। এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে খোকন মিয়াঁ জানালেন, ” বিধায়ক নেই। বিধায়ককে আপনারা ঠুঁটো জগন্নাথ ভাবছেন। বিধায়ককে সম্মান দেওয়া উচিত ছিল। তাঁকে না জানিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা হচ্ছে। এ ভাবে একনায়কতন্ত্রে দল চলতে পারে না। জেলা নেতৃত্ব শুধরে নিন। না হলে অচিরেই বিপদে পড়তে হবে। বিপদ আটকাতে পারবেন না।” দলের মধ্যে এভাবে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তোলায় কার্যত শোরগোল পড়ে গেছে কোচবিহার জেলা তৃনমূলে।

অন্যদিকে দলের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে কিছুদিন আগেই কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সব সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন যে, বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবার জন্য তৈরী আছেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল তিনি সুইচ অফ করে রেখে দিয়েছেন। তৃণমূল দলের দিনহাটা-২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর, কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি পরিমল বর্মণ দলের নতুন জেলা কমিটি গঠন নিয়ে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরপর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দলের বিরুদ্ধে একনায়ক তন্ত্রের অভিযোগ তোলায়, তুলকালাম বেঁধে গেছে কোচবিহার জেলা তৃনমূল শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!