এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও চাপান-উতোর বিজেপিতে

দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও চাপান-উতোর বিজেপিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে চলছে টালমাটাল পরিস্থিতি। একের পর এক হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন, অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দল বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। এরপর এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে অনেককে। দুজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, অভিযোগ উঠেছে পুরনো নেতৃত্বের প্রতি দল যতটা কঠোর, নবাগত নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ততটা কঠোর নয়। যাকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

প্রসঙ্গত। দল বিরোধী বক্তব্য রাখার কারণে মালদার প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি সঞ্জীব মিত্র ও মালদার হেভিওয়েট নেতা নিতাই মন্ডলকে বহিস্কার করেছে দল। আবার হুগলির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগকে দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ঘিরে যে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, এতে তাঁর মদত রয়েছে বলে, অভিযোগ উঠেছে। এরপর সতর্ক করা হয়েছে সুবীর নাগকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, দলের অনুগত সৈনিক হয়ে সমস্ত নিয়ম মেনে চলবেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে হুগলির এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন যে, দলের বিরুদ্ধে তিনি প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না, কিন্তু, এটাও ঠিক যে, দলে দু ধরনের নীতি চলছে। দলের পুরোনো নেতাদের দলবিরোধী বক্তব্যে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু যারা অন্য দল থেকে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু বলেছিলেন। উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল সরাসরি গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছিলেন, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।

আবার, বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত দল বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে, এখনো পর্যন্ত তাঁকে কোন হুশিয়ারি দিতে দেখা যায়নি দলকে। যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, দল বিরোধী কাজ কর্মের অভিযোগের দলের আদি নেতাদের প্রতি দল যতটা কত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, দলের নবাগতদের প্রতি দল তেমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দলের এই দুমুখো নীতি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!