এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “দলত্যাগীদের স্বাগত” ক্ষমতায় আসার পরই সুর বদলালেন মমতা!

“দলত্যাগীদের স্বাগত” ক্ষমতায় আসার পরই সুর বদলালেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনী প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসার পর সেই সমস্ত দলত্যাগী নেতাদের কি আবার দলে স্বাগত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নিয়ে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তৎকালীন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ঘাসফুল শিবিরের ভাঙ্গন ধরিয়ে যোগ দিয়েছিলেন পদ্মফুল শিবিরে। পরবর্তীতে একের পর এক ছোট, মেজো, বড় নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছিলেন। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক চাপে পড়ে যায়।

পরবর্তীতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মত একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীরা যোগদান করতে শুরু করেন পদ্মফুল শিবিরে। আর এবার তাদের প্রত্যেককেই বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু শুধুমাত্র মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী বাদে আর কেউ বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করতে পারেনি।

তবে নির্বাচনী প্রচারে যেভাবে দলত্যাগ করা নেতাদের কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসলেও, যদি সেই সমস্ত বিজেপি নেতারা পরাজিত হয়ে আবার তৃণমূলের ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একেবারেই গ্রহণ করা হবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্ত দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতারা দলে আসলে স্বাগত বলে জানিয়ে দিলেন। আর তার এই মন্তব্যকে নিয়েই এখন শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা।

সূত্রের খবর, সোমবার এই ব্যাপারে কালীঘাটে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেখানেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত।” স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সমস্ত রকম রাগ অভিমান ভুলে দুদিন আগে যে নেতারা বিজেপিতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ করেছিলেন, সেই তাদের কি আবার তিনি বরণ করে নেবেন?

এর ফলে কি কিছুদিন আগে বিজেপিতে যাওয়া এই সমস্ত নেতাদের দলে ফিরলে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হবে না? এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় আসবে এবং ক্ষমতায় এলে বিশ্বাসঘাতকদের বিষয়টি তিনি দেখবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দলত্যাগ করা নেতাদের যে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, তা বলাই যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া যে সমস্ত নেতারা প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়ে গিয়েছেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সেদিক থেকে তাদের ওপর কোনো রকম রাগ, অভিমান না দেখিয়ে উল্টে তাদের স্বাগত জানিয়ে গুঞ্জন বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বললেও, একাংশ বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে যাদের বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার বলে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাদেরকে তিনি মোটেই স্বাগত জানাবেন না। বিশেষ করে এত বড় জয়লাভের পর তিনি এই কাজ কখনই করবেন না। আসলে নির্বাচনে জয়লাভের পর সৌজন্যবশত তিনি এই প্রশ্ন উঠলে তার উত্তর ঠান্ডা মাথায় দিয়েছেন।

তবে বাস্তবে দু’দিন আগেই দলত্যাগ করা নেতারা যেভাবে প্রচারে তাকে কটাক্ষ করেছেন, তাতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর আর সেই সমস্ত নেতারা চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের যে খুব সহজে দলে নেবেন না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। তবে যে যাই বলুন না কেন, যদি বিজেপিতে যাওয়া সেই সমস্ত নেতারা আবার ফিরে আসতে চায়, তাহলে তৃণমূল নেত্রী বা তৃনমূল দলের অবস্থান কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!