এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নিয়োগের দুদিনের মধ্যে ‘ভুল নিয়োগপত্রের’ ছুতোয় বরখাস্ত অধ্যাপক, আইনি পথে বাঙালি গবেষক

নিয়োগের দুদিনের মধ্যে ‘ভুল নিয়োগপত্রের’ ছুতোয় বরখাস্ত অধ্যাপক, আইনি পথে বাঙালি গবেষক


নিয়োগের নামে প্রহসণ! বিভ্রাটের শিকার হলেন ইজরায়েলের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত সুদীপ্ত মন্ডল। ইন্টারভিউ দিয়ে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন সুদীপ্ত। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার দুদিনের মধ্যেই থেকে বরখাস্ত করা হল তাঁকে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে আইনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিইয়েছেন সুদীপ্ত।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। ভুলবশত নিয়োগ করা হয়েছে – সুদীপ্তর বরখাস্তের চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্ষমা চেয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দেবাংশু রায় জানান, উপাচার্যের নির্দেশে তিনি নিয়োগ পত্র দিয়েছিলেন। আবার তাঁর নির্দেশেই বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল সে প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেন নি তিনি। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তাঁর মোবাইল সুইচড্ অফ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য, বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক সুদীপ মন্ডল আসানসোলের বাসিন্দা। কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবাইলজি নিয়ে পিএইচডি করেন। এরপর পাড়ি জমান জেরুজালেম। সেখানে হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবাইলজির উপরই পোস্ট ডক্টরেট করছিলেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়েরর তরফ থেকে সাড়া না মিললেও জেরুজালেমে থাকাকালীন ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি তাঁকে চিঠি দিয়ে ইন্টারভিউতে ডাকে। তারপর তাঁদের সম্মতিতেই ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সুদীপ্তবাবু গত ২৭ জুন ইন্টারভিউ দেন। ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তারা তাকে নিয়োগপত্র পাঠায়। একমাসের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সুদীপ্ত ১৩ জুলাই দেশে ফিরে ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেন। এরপর ১৭ জুলাই নিজের বিভাগে কাজ শুরু করেন তিনি।
এরপরই ঘটে বিভ্রাট! পরেরদিন অর্থাৎ ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সুদীপ্তবাবুকে চেম্বারে ডেকে বরখাস্তের কথা জানিয়ে দেন। একথা শুনেই পিলে চমকে ওঠে তাঁর! বলা হয় ভুলবশত তাঁকে অন্য একজনের জায়গায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। ‘সামান্য ভুল’ কথাটা শুনেই মেজাজ বিগড়ে যায় তাঁর। সুদীপ্তের প্রশ্ন, তিনি যখন জেরুজালেম থেকেই জানিয়েছিলন যে কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরে কাজে যোগ দেবেন, সেই অবসরে কেন তাঁরা নিজেদের ‘সামান্য ভুল’ শুধরে নিলেন না? এখন আর গবেষণার কাজে ফেরারও সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে তাঁর কেরিয়ারই নষ্ট হতে বসেছে। এর দায় কে নেবে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!