এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা, কারণে সংকটে আসার বাণী বিশেষজ্ঞদের।

দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা, কারণে সংকটে আসার বাণী বিশেষজ্ঞদের।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস তার আক্রমণের থাপা উঁচিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। এখনো পর্যন্ত ৩৭ লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে দেশের মোট করোনা সংক্রমণ। করোনায় মৃত্যুও রোধ করা যাচ্ছে না। প্রতিদিনের সংক্রমণও হু করে বাড়ছে। কিন্তু এর মধ্যেও করোনা মুক্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। অনেক সময় প্রতিদিন দৈনিক করোনা সংক্রমণকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, দৈনিক করোনা মুক্তের সংখ্যাটা। যা স্বস্তি দিচ্ছে দেশবাসীকে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে স্বস্তির কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস ক্রমশই তার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। প্রথমদিকে তার যে ভয়াবহ মারণ ক্ষমতা ছিল, এখন আর তার সে ক্ষমতা নেই। বারবার মিউটেশন করে নিজের গতি বাড়াতে গিয়ে, ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাসটি। ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়ায়, তার সংক্রমনের ক্ষমতাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এমন আশার বাণীই শোনালেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বারবার মিউটেশনের ফলে দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়ছে এই মারন ভাইরাসটি। এর ফলে পূর্বের মতো মত সংক্রমণ ছড়াতে পারছে না। পূর্বে একজন করোনা রোগী চারজন পাঁচজন মানুষকে সংক্রমিত করতে পারত, তবে এখন একজন করোনা রোগী একজন মানুষকেই সংক্রমিত করতে পারছে। আর ভাইরাসের শক্তি হ্রাসের ফলেই ক্রমশ বাড়ছে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, কোন চিকিৎসকের শরীরে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের থেকে করোনা ভাইরাসএর সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে কলকাতার ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মোট ৪২ জন চিকিৎসককে গতকাল সোমবার এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছিল। স্বস্তির কথা তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনের দেহে করোনার সন্ধান মিলেছে। এভাবে মোট ৪২ জন চিকিৎসকের শরীরে এন্টিজেন টেস্ট করানোর পর ১ একজন চিকিৎসকের দেহে করোনাভাইরাস মেলায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা পূর্বের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এর মত অনুযায়ী, এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ঝুঁকি মুক্ত, নির্ভুল ভাবে যে কোন সক্রিয় ভাইরাসকে চিহ্নিতকরণ ও বিশ্লেষণ অতি শীঘ্রতার সঙ্গে করা সম্ভব। তাই এই এন্টিজেন টেস্ট করেই দ্রুততার সঙ্গে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে আইএমএ এর সর্বভারতীয় সভাপতি সেইসঙ্গে সাংসদ ডা. শান্তুনু সেন জানিয়েছেন যে, এন্টিজেন টেস্টের এর দ্বারা করোনা আক্রান্তের নাক ও মুখ থেকে সংগৃহীত লালা রস বা শ্লেষ্মা থেকে কি খুব সহজেই ও দ্রুততার সঙ্গে করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করা সম্ভব।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ কালে আবার সামনে এলো চিকিৎসক নিগ্রহ এর ঘটনা। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুরের জনৈক চিকিৎসক ডাক্তার শতাব্দী সরকার ভট্টাচার্যকে এক ব্যক্তি হুমকি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ডা. শান্তুনু সেন জানিয়েছেন ডাক্তার শতাব্দী সরকার ভট্টাচার্যকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ইতিমধ্যে সুপারিন্টেন্ডেন্টপুলিশের কাছে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে, তাঁরা এ ব্যাপারে চিকিৎসক শতাব্দী সরকার ভট্টাচার্য এর পাশে আছেন। এছাড়া ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডাক্তার কৌশিক চাকি চিকিৎসক শতাব্দি সরকার ভট্টাচার্যকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি ফোন করে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। হুমকিদাতা ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!