এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দু’ডোজ ভ্যাকসিন নেবার প্রয়োজন হবে না, এক ডোজেই হবে বাজিমাত

দু’ডোজ ভ্যাকসিন নেবার প্রয়োজন হবে না, এক ডোজেই হবে বাজিমাত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দেশে চলছে ভ্যাকসিনের প্রচণ্ড অভাব। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে একাধিক হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বারবার ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া থমকে যাচ্ছে। অনেকে কোনক্রমে একবারের মত ভ্যাকসিন নিতে পারলেও, দ্বিতীয়বার ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে আরও সমস্যায় পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা মর্ডানা ও ফাইজার দেশে সিঙ্গেল শট ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিন দুবার নেবার প্রয়োজন হবে না, একবারেই হবে বাজিমাত।

দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়ায় যে গতি আনতে হবে, তা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু সম্প্রতি যে পরিমাণ ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হচ্ছে দেশে, তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।

এই পরিস্থিতিতে একাধিক বিদেশী সংস্থার ভ্যাকসিন দেশে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই একাধিক বিদেশি সংস্থাকে দেশে ছাড়পত্র দেওয়া একটা সম্ভাবনা আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মর্ডানা, জনসন এন্ড জনসনের বায়ো ই ভ্যাকসিন, জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার দেশের সিরামের নোভাভাক্স, ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনের দেশে ছাড়পত্র দেয়ার সম্বাবনা। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি দেশে আসার ছাড়পত্র পেয়েছে। এই ভ্যাকসিন দ্রুত দেশে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনকেও দেশে ছাড়পত্র দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেশ কিছু ভ্যাকসিন সংস্থার সঙ্গে দেশের আলোচনা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ভ্যাকসিন মর্ডানা সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আনার ব্যাপারে কথা চলছে। দেশীয় সংস্থা সিপলা ফার্মাসিটিক্যাল সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তবে মর্ডানা তাদের সিঙ্গেল শট ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বিতরণ করার ক্ষমতা দেবে সিপলাকে। দ্রুত এই ভ্যাকসিন দেশের বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে আমেরিকার অপর এক ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ফাইজার দ্রুত তাদের ভ্যাকসিন দেশের বাজারে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এই ভ্যাকসিন হলো সিঙ্গেল শট। গতবছর এই সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চললেও শেষ পর্যন্ত থমকে যায়। গত বছরের আগস্ট মাসে ফাইজারের সঙ্গে দেশের বেশ কিছু নির্মাণ সংস্থার কথাবার্তা চলছিলো। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে ফাইজারের ট্রায়াল করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি ট্রায়াল’ করে দেশের ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রস্তাব এসেছে।

কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে জুলাই মাসের মধ্যেই এক কোটি ডোজ দেশে পাঠাতে প্রস্তুত ফাইজার। পরবর্তীতে তা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে কয়েক কোটি ডোজ পাঠাবার প্রস্তাব দিয়েছে ফাইজার। তবে এখনো পর্যন্ত ট্রায়াল না হওয়ার কারণে এ সমস্তটাই থমকে রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার। সম্প্রতি দেশে যেভাবে ভ্যাকসিনের অভাব চলছে। দুবার ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে যেভাবে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেদিক থেকে সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

 

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!