এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > একে করোনার ছোবল, তার উপরে ‘মলমাসের’ থাবা! মহালয়া এসে গেলেও পুজোর গন্ধ নেই বাংলার বাতাসে!

একে করোনার ছোবল, তার উপরে ‘মলমাসের’ থাবা! মহালয়া এসে গেলেও পুজোর গন্ধ নেই বাংলার বাতাসে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –
“আশ্বিনের মাঝামাঝি,
উঠিলো বজনা বাজি,
পুজোর সময় এলো কাছে

মধু, বিধু দুই ভাই,
ছোটা-ছুটি করে তাই,
আনন্দে দুহাত তুলে নাচে…”

প্রতিবছর মা আসেন আশ্বিন মাসে। চারিদিক কাশ ফুলে ভরে ওঠে, আকাশের নীল আভায় সাদা মেঘের ছড়াছড়ি। বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। অন্যদিকে চারিদিকে মানুষের মধ্যে হই হই, মা আসছেন। তাঁর আগমনের জন্য কত ব্যস্ততা চারিদিকে। প্রতিবারের মত এবারেও প্রকৃতি কিন্তু সেই সাজ সাজতে ভোলেনি। তবে করোনা কেড়ে নিয়েছে এবারের সেই পুজোর আমেজ। অন্যদিকে সেইসঙ্গে মা আসছেন আশ্বিনে নয়, কার্তিকে। কারণ এবারে যে পড়েছে মলমাস। কি এই মলমাস?

পঞ্জিকা মতে, দুটি অতিরিক্ত মাসের কথা বলা হয়েছে। যে সৌরমাসে দুটি অমাবস্যা হয়, তাকেই মলমাস বলে। মহাভারতে পাঁচ বছরে দুটি অতিরিক্ত মাসের কথা বলা হয়েছে বলে জানা যায়। জানা যায়, সৌরমাস এবং চান্দ্রমাসে দিনের হিসেব আলাদা। তবে চান্দ্রবর্ষের ৩৬০টি তিথিতে মোট ৩৫৪.৩৬ সৌরদিন থাকে। ফলত প্রতিবছর চান্দ্র ও সৌরমাসের মধ্যে ১০দিন, ২১ ঘণ্টা, ৩৫ মিনিটের ব্যবধান হয় | ৩২ টি সৌরমাসের জন্য ৩৩টি চান্দ্রমাস। ফলে চান্দ্র ও সৌর বর্ষের মধ্যে সাধারণত ২-১/২ থেকে ৩ বছর অন্তর একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করতে হয়। একেই মলমাস বা অধিমাস বলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, মূলত এক মাসে দু’টি অমাবস্যা পড়লে সেই মাসটিকে মলমাস বলা হয়। সেই কারণে ১৮-১৯ বছর পর পর আশ্বিন মলমাস হিসেবে পরিচিত হয়। বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, আগামী ১৭.০৯.২০২০, বৃহস্পতিবার বিকাল ০৪|৩০ এর পর থেকে ১৬.১০.২০২০ শুক্রবার রাত্রি ০১|০১ অবধি মলমাস বা অধিমাস রয়েছে। তবে এই মাসের কয়েকটি নিয়ম আছে। কথিত আছে, এই সময় কোন পূজো পার্বণ করা যায় না তবে যে সমস্ত কাজ পূর্বে শুরু হয়েছে, তা করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে যা নিত্য কর্তব্য, যেমন – স্নান, সন্ধ্যারতি, পঞ্চমহাযজ্ঞ এবং শিবপূজা প্রভৃতি আবশ্যক কার্য, তা মলমাসেও করতে পারবে। অন্যদিকে নৈমিত্তিক কর্ম অর্থাৎ যা পরে করার সময় আর পাওয়া যাবেনা, তা মলমাসেও করা যাবে।

এছাড়া, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মহালয়া। সেই সঙ্গে, এ বার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়। যার ফল মড়ক। অন্যদিকে দেবীর গমন গজে। যার ফল শস্য-শ্যামলা পৃথিবী। জ্যোতিষবিদের মতে, বর্তমান বছরে শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল ও কেতুর দৃষ্টি এবং যোগ থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সেই সংকটকালেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে। সেই সঙ্গে কাল মহালয়া। তবে মা আসতে এখনো আরও ৩৫ দিন বাকি। তাই এবার পুজোয় মানুষের মনের আনন্দ যে অনেকটাই চলে গেছে, সেটাই মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!