এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মহালয়ায় ‘লাস্যময়ী’ মা দূর্গা সেজে নেট দুনিয়ায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করলেন নুসরত জাহান!

মহালয়ায় ‘লাস্যময়ী’ মা দূর্গা সেজে নেট দুনিয়ায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করলেন নুসরত জাহান!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এর পরিচালনায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গারূপে নেটজনতার কড়া সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কেন তাঁকে এই ভূমিকায় নেওয়া হলো বা তাকে এই ভূমিকায় বেমানান লাগবে এমন অনেক সমালোচনা সামলাতে হয়েছিল পরিচালককে।

যদিও স্টার জলসার পর্দায় মহালয়ার ভোরে অভিনেত্রীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপ দেখে সেসব সমালোচক নেটজনতাদের মুখে কুলুপ এঁটেছে। অন্যদিকে জি বাংলার ‘দুর্গা সপ্তসতী’তে দেবী দুর্গার আরেক রূপ শতাক্ষীর ভূমিকায় অভিনয় করে মেক-আপ নিয়ে জোর সমালোচনার শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ‘কাদম্বিনী’ খ্যাত উষসী রায়। তবে এবার মহালয়ার ভিডিও পোস্ট করে নেটজনতার রোষের মুখে পড়তে দেখা গেল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে।

তবে কি এমন করেছিলেন তিনি? জানা গেছে সকলের মতই এদিন মহালয়ার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। আর তাতেই নেটজনতার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। মহালয়াতে মাতৃপক্ষের সূচনা উপলক্ষে দেবী দুর্গা সেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন মাত্র। যার মাধ্যমে তিনি অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ভিডিওটি নজরে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন ত্রিশূল হাতে নিয়ে, দুর্গা সাজে তিনি কখনও মাতৃসুলভ চাহনি দিয়ে, আবার কখনও বা দুষ্টের দমনে হাতে ত্রিশূল নিয়ে পোজ দিয়েছেন। যা দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়েছে কটাক্ষ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এদের মধ্যে থেকেই এক নেটজনতার কথা, মা দুর্গাকে তো কখনও এরকম ‘সিডাক্টিভ’ দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে ভিডিও পোস্ট করার আগে নিশ্চয়ই অভিনেত্রী সেটা দেখেননি বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে করো কথায়, অভিনেত্রী তো আর বিজ্ঞাপনী প্রচার তো করছেন না, তবে সত্যিই নাকি তাঁকে দেখে নাচ ভুলে যাবেন বলেই ভাবছেন কেউ। কেউ আবার নুসরত জাহানকে কেন ইংরেজিতে শুভ মহালয়া লিখেছেন, কেন তিনি বাংলায় লেখেননি? সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন। তবে এর পাশাপাশি কিন্তু অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসা করেও তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে অনেক অনুরাগীদের।

তবে আসল কথা বলতে বলতে হয়, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে দেবীপক্ষের সূচনা এবং পিতৃপক্ষের অবসান। বছরে এই একটা মাস দেবীপক্ষের আবহে জয়গান করা হয় নারী শক্তির। তবে বস্তুত সমালোচনা যদি করতেই হয় তবে সমালোচনা করে এটাও তো দেখা যেতে পারে, যে সমাজ পিতৃতান্ত্রিক বলে পরিচিত, সেই সমাজ বর্তমানে যতই নারী পুরুষের সমকক্ষ বলে দাবী করুক না কেন, আজ সমাজে একজন নারী কতটা স্বাধীন। সেই স্বাধীনতা বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে হোক বা নিজের ইচ্ছা মত জীবন যাপনের দিক থেকেই হোক। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সমাজের নারী আদৌ কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্নও কিন্তু উঠে আসে। কারণ যেভাবে সমাজে নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে, তাতে সত্যিই দুর্গারুপিনী কোনো মহাশক্তির প্রয়োজন, নারীদের অপমান কলঙ্করুপ অসুর মোচনের জন্য। তাই সর্বোপরি মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনার শুভক্ষণে শুধু মুখের কথায় নয়, সত্যিই সমাজে পুরুষদের মত নারীরাও হবে অর্ধাঙ্গ এমনই হোক অঙ্গীকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!