এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দুষ্কৃতী বোমায় বিজেপি কর্মী ছিন্নভিন্ন হতেই ভারতীর নেতৃত্বে শক্তি প্রদর্শন গেরুয়া শিবিরের!

দুষ্কৃতী বোমায় বিজেপি কর্মী ছিন্নভিন্ন হতেই ভারতীর নেতৃত্বে শক্তি প্রদর্শন গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার মোহাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের করণপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে বিজেপি কর্মী দীপক মণ্ডল নিহত হন। একটি ফুটবল ম্যাচ দেখে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তিনি, তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরাই বোমা ছুড়ে হত্যা করেছে তাঁকে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দীপক মণ্ডলের কোমরে বোমা রাখা ছিল, যা ফেটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

বোম বিস্ফোরনে বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার পশ্চিম দীপক বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। শ্রীরামপুর থেকে কয়েকশো সদস্যের বাইক বাহিনী নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। গতকাল সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ খিদিরপুর গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জেলা বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক, জেলা সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল প্রমুখরা। অভিযোগ উঠেছে মাস্ক, হেলমেট ছাড়াই কয়েকশো বিজেপি সদস্য বাইক মিছিল করে তাঁকে এসকট করে খিদিরপুরে নিয়ে আসেন। বোমা বিস্ফোরণে নিহত দীপক বাবুর মা, বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হওয়া বিজেপি কর্মীদের হত্যা করছে তৃণমূল। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটা বারণের রাজত্ব চলছে। তিনদিনের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে আন্দোলন তীব্র হবে।” এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য আইনি লড়াই চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, গত ২০১৯ সালের ১৪ ই অক্টোবর ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের বরুণা গ্রামে তৃণমূল নেতা বাসুদেব মন্ডলকে হত্যা করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ড্রিল মেশিন চালিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছে তাঁকে। তাঁর স্ত্রী বিজেপির মন্ডল সভাপতি অলক বেরা সহ সহ বেশ কিছু বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে, বাকিরা পলায়ন করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ঘটনার পর থেকে বাকচায় কিছুটা জনসমর্থন হারিয়ে ফেলে বিজেপি। এই বাকচা অঞ্চলটি ভৌগোলিক কারণ কারণ এই দুষ্কৃতীদের কেন্দ্রস্থল। এর একদিকে আছে ভগবানপুর থানা, অপরদিকে সবং থানা। বাকচার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কেলেঘাই নদী। এই কারণেই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

প্রসঙ্গত, গত ১০ ই আগস্ট সবং, ভগবানপুর এলাকা থেকে বিজেপির বাইক বাহিনী বরুনা গ্রামে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে তৃণমূলের বেশ কিছু সদস্য ঘরছাড়া হয়ে অন্যত্র চলে যান। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শুকলাল মন্ডল তার আড়ংকিয়ারানা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ময়না থানার কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন। বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আশ্রয় নিয়েছেন ময়নার তৃনমুল ব্লক পার্টি অফিসে।

বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের মৃত্যুর পর ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীদের আশঙ্কা, বিজেপি কর্মীর বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুও কেন্দ্র করে বাকচায় নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হতে পারে বিজেপি। তৃণমূলের বাড়িছাড়া সদস্যদের প্রশ্ন, এভাবে কতদিন তারা বাড়িছাড়া হয়ে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গতকাল অশান্তির আশঙ্কায় বাকচার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পুলিশ বাহিনী নিয়োজিত ছিল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!