এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার বাগনান ধর্ষণকান্ডে সরব হলেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা, তীব্র অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে

এবার বাগনান ধর্ষণকান্ডে সরব হলেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা, তীব্র অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির সরব হয় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে। এমনকি মানবাধিকার কমিশন থেকে হাইকোর্ট সব জায়গাতেই তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করা হয় রাজনৈতিক হিংসার কারণে। কিন্তু এতো কিছু হয়ে যাবার পরেও রাজ্যের পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। যা বোঝা গেল আবার বাগনানের ঘটনায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবং এই অমানবিক কাজের পেছনে এলাকার তৃণমূল দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর থেকেই সরব হয়েছেন আবার বিজেপি নেতা নেত্রীরা।

ইতিমধ্যেই আসানসোলের দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল দাবি করেছেন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। পাশাপাশি ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী ট্যুইট করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এবার এই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা করলেন। তিনি এদিন এই ঘটনার সূত্রে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ ধর্ষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে তোলা হয়েছে এবং তা হয়েছে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর এই কটাক্ষ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বাগনানের বিজেপি কর্মীর ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

এবং শুভেন্দু সেখানে দাঁড়িয়ে দাবি করেছেন, বাগনানে তৃণমূল নেতা কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং দেবাশীষ রানার প্রশ্রয়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের হাতে নির্মমভাবে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে। অন্যদিকে শুভেন্দু বিস্ফোরক দাবি করেছেন, পুলিশ এবং প্রশাসন এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে প্রশাসনিক স্তর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের বাগনান থানার বাইনান এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে কথা বলতে না পারায় তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। সারারাত নির্যাতন করার পর ভোরবেলা নির্যাতিতাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়। এরপর নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পরে শুভেন্দু অধিকারীর তৎপরতায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে নির্যাতিতাকে সুস্থ করে তোলার পর দ্বিতীয় কাজ তাঁর জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা।

অন্যদিকে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়েছে। এবং সেখানেই সাহিদ মল্লিক ও জয়নাল মল্লিক কে 6 দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানোয় তীব্র অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফ থেকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে, এই গণধর্ষণের ঘটনায় যদি দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকে কোনভাবেই রেয়াত করা হবেনা। কার্যত নজর থাকবে এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি শাস্তি ঘোষণা হয়, তার দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!