এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে বিশাল মিছিল করে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলীপের, জোর শোরগোল !

উত্তরবঙ্গে বিশাল মিছিল করে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলীপের, জোর শোরগোল !

বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সাংগঠনিক জোর না থাকা সত্ত্বেও, উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি কেন্দ্র দখলে নিয়ে এসেছিল তারা। তবে লোকসভায় বিজেপির অবস্থা ভালো থাকলেও, রাজনীতি সব সময় পরিবর্তনশীল। কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যেখানে উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ছিল। কিন্তু সেখানে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে লোকসভার মতই যাতে উত্তরবঙ্গের সাফল্য ধরে রাখা যায়, তার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধাচরণ করে প্রতিবাদ, বিরোধী সভা-সমিতি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি এই আইনের স্বপক্ষে থেকে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এদিন তারই অঙ্গ হিসেবে জলপাইগুড়িতে গিয়ে অভিনন্দন যাত্রা করে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই আওয়াজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, বুধবার জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া থেকে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হয় পান্ডাপাড়াতে এসে। আর এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ প্রচুর কর্মী সমর্থকরা। আর দলের এই অভিনন্দন যাত্রায় প্রচুর জনসমাগম দেখে রীতিমতো উজ্জীবিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার ফলস্বরুপ এই যাত্রা শেষে সভা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “মাইক ব্যবহারের অনুমতি আমাদের যাওয়া হয়নি। অভিনন্দন যাত্রা করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মিছিলে যাতে কর্মীরা না আসতে পারে, সেই জন্য রাস্তায় পরিকল্পিতভাবে যানজট তৈরি করা হয়েছে। তবুও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এদের মিছিলে হেঁটেছেন। জলপাইগুড়ি সহ একাধিক পৌরসভার মেয়াদ এপ্রিল মাসে শেষ হবে। আজকের মিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে, জলপাইগুড়ির মানুষ আমাদের চাইছে। গোটা দেশে সুশাসন যেভাবে মোদীজি দিচ্ছেন, একইভাবে জলপাইগুড়ি আমাদের হাতে ক্ষমতা দিলে সুশাসন পাবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়ে জলপাইগুড়ি পৌরসভা দখলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যায় দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি পৌরসভা পরিচালনায় ব্যাপক অনিয়ম, কাটমানি খাওয়া হয়েছে। তাই এবারের পুরভোটে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভার পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তৃণমূলের বিরোধীতার জেরে বিজেপি যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আর তাই এদিন জলপাইগুড়িতে এসে সেই অস্বস্তিকে ঢেকে জলপাইগুড়ি পৌরসভায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপবাবু জনতা জনার্দনের কাছে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রচার করে ভোট প্রার্থনা করলেও, সাধারণ মানুষ ভোট বাক্সে কার দিকে সমর্থন করেন, তা দেখার অপেক্ষাতেই রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!