প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার তোলাবাজির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। এতদিন যেখানে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আসছিল গেরুয়া শিবির, সেখানে এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিজেপির অন্দর থেকেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। এদিন যেমন তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির মন্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। এবং এই অভিযোগ করেছেন বিজেপিরই একজন সক্রিয় কর্মী। এই নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার সমালোচনা।

অভিযোগ উঠেছে, বালি এলাকার বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। তিনি বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মীর কাছে বাড়ি তৈরীর জন্য 10 লাখ টাকা তোলা চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর কাছ থেকে 10000 টাকা ছিনতাই করা হয় এবং তাঁকে মারধরও করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে এদিন বিজেপি কর্মী সৌরভ পাল সরাসরি দ্বারস্থ হন হাওড়া জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের। যদিও এই ঘটনাকে বিজেপি প্রাথমিকভাবে চক্রান্তের নাম দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি বালির গোস্বামী পাড়ায় এক বিজেপি কর্মী সৌরভ পাল আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করার প্রস্তুতি নেন। সেই সময় বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি রাধারঞ্জন গোস্বামী তাঁর কাছে 10 লাখ টাকা চায় এবং বলা হয় 10 লাখ টাকা না দিলে বাড়ি তৈরি করা যাবে না এবং ওই বিজেপি কর্মীকে দল থেকে বার করে দেওয়া হবে। অভিযোগ উঠেছে, এই হুমকি দেওয়ার পরেও সৌরভ পালের কাছ থেকে 10 হাজার টাকা ছিনতাই করে অভিযুক্ত মন্ডল সভাপতি।

এরপরেই বিজেপি কর্মী সৌরভ পাল তৃণমূল চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানিয়েছেন, আইনত সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তবে বেআইনিভাবে কোন টাকা-পয়সা যাতে সৌরভ পালকে না দিতে হয় সেদিকে প্রশাসন কড়া নজর রাখবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তৃণমূল রাজনৈতিক রঙ না দেখে আভিযোগকারীর পাশে দাঁড়াবে বলে এদিন মন্ত্রী জানিয়েছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সদর জেলার সভাপতি সুরজিৎ সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।

তবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত মন্ডল সভাপতি রাধারমণ গোস্বামীকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে এই ঘটনা সামনে আসায় গেরুয়া শিবির খুব স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তির মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের ইমেজ খারাপ করার জন্য যথেষ্ট কার্যকরী। এখন দেখার, অভিযুক্ত মণ্ডল সভাপতির দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দল কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যদিকে তৃণমূল শিবির এই ঘটনার পুরোপুরি ফায়দা নেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

** স্থানীয় সূত্রের প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে, এই প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বিজেপি কর্মী হিসাবে সৌরভ পালের জায়গায়, ‘সৌরভ মন্ডলের‘ নাম লেখা হয়েছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।