এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার খুল্লামখুল্লা তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর, বাড়ছে জল্পনা!

এবার খুল্লামখুল্লা তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আশা আশঙ্কার দোলাচল নিয়ে সকাল থেকেই বাংলার রাজনৈতিক মহল কম্পিত ছিল। নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অরাজনৈতিক ব্যানারে উপস্থিত থেকে শুভেন্দু অধিকারী কি বলেন, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। অবশেষে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকা সেই সভায় উপস্থিত হলেন তৃণমূলের এই শীর্ষনেতা। কিন্তু সশরীরে তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও, এবার সরাসরি তৃণমূলের নাম না নিয়ে কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে যখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র, ঠিক তখনই নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতি শিরোনামে উঠে চলে এল। বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই তিনি নন্দীগ্রামের এই সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তিতে পৃথক সভার ডাক দেন। যেখানে তৃণমূলের কোনো যোগ ছিল না। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা সেই নন্দীগ্রামে সভার আয়োজন করা হয়। এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকা সেই সভায় উপস্থিত হয়ে নিজের দলের শীর্ষ নেতাদের নাম না করে কার্যত কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, “13 বছর পরে নন্দীগ্রামকে মনে পড়ল! ভোটের পরে আসবেন তো? এই মঞ্চ থেকে আমি রাজনীতির কোনো কথা বলব না। আগামী দিনে রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে। শুভেন্দু অধিকারী কাউকে ভয় পায় না। মনে রাখবেন, এটা কোনো রাজনীতির লড়াই নয়। কোনো জমি দখলের লড়াই নয়।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করছেন, তখন তার পাল্টা তাকে জবাব দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। স্বাভাবিকভাবেই এই সভা নিয়ে এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেই তৃণমূলের একাংশকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি আপনাদের নতুন লোক নই। চেনা বামুনের পইতে লাগে না।” একাংশের মতে, অনেকেই মনে করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী এদিনের সভা থেকে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কেননা বর্তমানে দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে তাকে। বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থাকলেও, তিনি কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিচ্ছেন না। যার ফলে বাড়ছে আশঙ্কা। আর এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তিতে নিজের মত করে উপস্থিত থেকেছেন।

এক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনো চিহ্ন সেখানে দেখা যাচ্ছে না। যাকে নিয়ে তৃণমূলের একাংশ কার্যত ক্ষুব্ধ। আর কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা সভা রয়েছে। যা শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতেই বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে নন্দীগ্রামকে এত বছর পর মনে পড়ল বলে, যারা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভার আয়োজন করেছে তাদেরকেই কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর এই ঘটনাতেই একাংশ বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও জোরালো হতে শুরু করল। শুভেন্দুবাবু নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি দলের বিরুদ্ধে এবার বিদ্রোহের রাস্তা বেছে নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে নিজে এই সমস্ত বক্তব্য রাখলেও, তার রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে, তা স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু অধিকারী। নিজেকে নন্দীগ্রামের মানুষ বলে আরও বেশি করে জনসংযোগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। আর নিজের বক্তব্যের একদম শেষে “ভারতমাতা জিন্দাবাদ” বলতে দেখা গেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। যাকে নিয়ে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা একপ্রকার নিশ্চিত, শুভেন্দু অধিকারী এদিনের সভা থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু না জানালেও, তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, তার পাল্টা যে সভা হচ্ছে, তাকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

শুধু তাই নয়, সেই সভায় যারা উদ্যোক্তা, তাদেরকে কটাক্ষ করে এত বছর পর নন্দীগ্রামকে মনে পড়ল! বলে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত দল ত্যাগ করেননি। তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে পাল্টা সভা করার উদ্যোগ নেওয়াতে তিনি যেভাবে আগের সভা থেকে নাম না করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে তার বিদ্রোহী মনোভাব ক্রমাগত ফুটে উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি এবার দলে থেকেই এভাবে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে যাবেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী! নাকি আগামীদিনে নেবেন বড় কোনো সিদ্ধান্ত, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!