প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্মদিন উপলক্ষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। আর সেই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক জল্পনা। কার্যত বরাবরই শোনা যায়, রাজনীতিবিদরা রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু বোঝেননা। তাই সৌরভের বাড়িতে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জির যাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ আছে কিনা তা অনুসন্ধান করতে উঠেপড়ে লাগে সংবাদমাধ্যম। অনেকেই বলতে শুরু করেন, বাংলার মহারাজকে হয়তো এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হবে। আর তা নিয়েই আলোচনা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে। জন্মদিন তো উপলক্ষ মাত্র।

কিন্তু সমস্ত জল্পনা এক কথায় নস্যাৎ করে দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজনীতির লোক নন। তাই কোনোভাবেই তিনি রাজনীতিতে যোগদান করবেননা। এদিন বাংলার মহারাজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে সাক্ষাৎ হয়েছে, তা পুরোপুরি সৌজন্য সাক্ষাৎ। মুখ্যমন্ত্রীকে এক্ষেত্রে তিনি দিদি বলে পরিচয় দিয়েছেন। পাশাপাশি সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন। রাজনীতির কোনো কথা হয়নি।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে এই প্রথমবার পা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, হঠাৎ করে সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন কি শুধুমাত্র সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, নাকি তার পেছনে আছে রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ? কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী নিজে এই তত্ত্বকে খারিজ করে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে তিনবার সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে গিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, জন্মদিনের সৌজন্য সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে সৌরভ ও তাঁর পরিবারের জন্য বেশ কিছু উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। আবার সৌরভের তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলার মহারাজের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে বরাবরই জল্পনা থেকেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ব্যাপকভাবে জল্পনা তৈরি হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলী বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছে ফোন এসেছে বলেও শোনা যায়।

কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সৌরভ গাঙ্গুলী কোন মতেই বিজেপিতে যাননি এবং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে তিনি কোনোভাবেই আসতে চাননা। সুতরাং জল্পনার যা-ই হোক না কেন, সৌরভ গাঙ্গুলীর মুখের কথাই যে আসল সেকথা একপ্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছেন সৌরভ নিজেই। তবে রাজনীতির আঙিনায় অসম্ভবকেও কখনও কখনও সম্ভব হতে দেখা যায়। তাই আপাতত সৌরভ গাঙ্গুলী রাজনীতিতে আসবেন না বললেও পরবর্তীতে তিনি যে কোনো রাজনৈতিক দলের হাত ধরবেননা, তা কি এতোটাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়? প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।