প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন। আর সম্প্রতি তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বিজেপি শিবিরে পা দিলেন। যথারীতি দলবদল নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি চূড়ান্ত সরগরম। এই দলবদল একমুখী হয়ে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। তবে এবার উলটপুরাণ, গেরুয়া শিবিরে দলবদল করেও রাতারাতি তৃণমূলে ফেরত এলেন দলবদলকারীরা।

সম্প্রতি হাওড়ার উলুবেড়িয়া তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন সক্রিয় 32 জন কর্মী। জানা গিয়েছে, বিজেপির গ্রামীণ জেলা সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল উলুবেরিয়া পুরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু 48 ঘণ্টা পার হতে না হতেই সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। যতজন বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা সবাই আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন। সোমবার উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য আব্বাসউদ্দিন খাঁ এর হাত ধরে সবাই ফেরত এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন আব্বাসউদ্দিন খাঁ দাবি করেছেন, যে 32 জন তৃণমূল থেকে গিয়েছিলেন, তাঁরা তো ফেরত এসেছেনই, সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি থেকে চলে এসেছেন তৃণমূলে।

অন্যদিকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরত এসে কর্মীরা জানিয়েছেন, নিচুতলার কিছু নেতার কারণে ভুল বুঝে তাঁরা চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হয়ে তাঁরা দলের সাথেই থাকবেন বলে জানালেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা আব্বাসউদ্দীন খাঁ জানিয়েছেন, 24 নম্বর ওয়ার্ডের কর্মীরা দল ছাড়ার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয় এবং তখনই আসল সমস্যা ধরা পরে।

জানা যায়, তাঁদেরকে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা যথারীতি তৃণমূল শিবিরের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসায় যথারীতি গেরুয়া শিবির চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে। কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। দলে যোগ দিয়ে দল থেকে রাতারাতি ফেরত যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের ইমেজ যে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলো, সে কথা বলাইবাহুল্য।