প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা দেশ জুড়ে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে গেছে করোনা পরিস্থিতি। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। এতদিন পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সভা-সমিতি, মিটিং চলেছে করোনা বিধির নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই। কিন্তু এবার কমিশনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম প্রত্যক্ষ প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল। অর্থাৎ কোনো রকম র‍্যালি বা সভা-সমিতি করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে সামনের দুই দফার নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচারের জন্য বেছে নিয়েছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিকে।

আর এবার ভার্চুয়াল প্রচারেও একে অপরকে টেক্কা দিতে ময়দানে অবতীর্ণ তৃণমূল এবং বিজেপি। প্রসঙ্গত, গতকাল হাইকোর্ট থেকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে ভোটের প্রচার চলছে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভৎসনা করা হয়। আর তারপরেই কমিশনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রোডশো এবং র‍্যালির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির। শেষ দুই দফার ভোট এখনো বাকি, আর তার জন্য দফায় দফায় কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকে বসছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে করোনা পরিস্থিতির জেরে দুই দফায় ভোট একদফায় করানো যায় কিনা তাই নিয়েই এই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি করোনা পরিস্থিতির জেরে সমস্ত রকম সভা, রোডশো বন্ধ করে দিচ্ছেন। কলকাতায় 26 তারিখ শুধুমাত্র একটি প্রতীকী সভা করবেন, আর কোন রোড শো, মিটিং-মিছিল তিনি করবেননা। বামেদের পক্ষ থেকেও এই ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। এমনকি অধীর চৌধুরীও এই ঘোষণা করেছিলেন।

শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ দুজনেই এই একই পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁরা আর রাজ্যে কোনো রোড শো, সভা করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মত একই পথে হেঁটে সভা ও মিছিল সবকিছু বাতিল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি ভার্চুয়ালি প্রচার করবেন বলেই জানিয়েছেন। শেষ দু’দফার ভোটের প্রচার বাকি, এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং দুই দফা ভোটের প্রচারে ভার্চুয়ালি তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা বিজেপি ভোটারদের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন সেদিকেই এখন সবার নজর।