খুশির ঈদের অনুষ্ঠান মঞ্চে নামাজ! জলপাইগুড়ির ঘটনা শুনলে আপনার চোখেও জল আসবে উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 13, 2019 ভারত বর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে নানা ধর্ম, নানা বর্ণের মানুষ একত্রে বসবাস করে। হিন্দুরা যেমন দুর্গাপুজোতে আনন্দ করে, ঠিক তেমনই মুসলমানরা ঈদে তাদের উৎসব পালন করে। নিজ ধর্মকে সম্মান করেন না এমন ব্যক্তি খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে এই ভারতভূমিতে। গতকাল সারা দেশ জুড়ে মহাসমারোহে ঈদ পালিত হয়েছে। আর এই ঈদ পালনেই একটি অনবদ্য ছবি চোখে পড়ল জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দপ্তরের সামনের অনশন মঞ্চে। অনুষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও এদিন সেই অনশন মঞ্চে বসেই নিজ ধর্মকে সম্মান জানিয়ে ঈদ পালন করতে দেখা গেল জমিদাতা 11 জন অনশনকারীকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, গত শুক্রবার থেকে সরকারি চাকরির দাবিতে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় 61 জন জমিদাতা তাদের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন 12 জন ব্যক্তি। তাদের দাবি, যতদিন না তাদের সুনির্দিষ্ট দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে এদিন ঈদ পালন হলেও বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন সেই অনশনকারীদের মধ্যেকার 11 জন ব্যক্তি। যারা এদিন সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে বসেই তাদের নামাজ পড়েন। বাড়ির কথা উঠে আসতেই তাদের চোখে জল ভেসে উঠতে দেখা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, আবেগ থেকে বড় কিছুর দাম হয়ত কারোর কাছেই বেশি নয়। যখন রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে, যখন ঈদের মাঠে হিজাব পড়ে মাঝেমধ্যেই নামাজ পড়তে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তখন তিনি মুসলমানদের পরব এই ঈদের দিনেও আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দুঃখ কেন মোছানোর জন্য সচেষ্ট হচ্ছেন না! তাহলে কি রাজনীতির কাছে মানবিকতাকে বারেবারেই দমে যেতে হবে! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -