এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > একাধিক দাবিতে বিক্ষোভে রোহিঙ্গারা, অস্বস্তি তুঙ্গে!

একাধিক দাবিতে বিক্ষোভে রোহিঙ্গারা, অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবার চরম বিক্ষোভে নামতে শুরু করল রোহিঙ্গারা। মূলত মাসিক টাকা প্রদান সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নিজেদের দেশ মায়ানমার থেকে উচ্ছেদ হয়ে কখনও বাংলাদেশ কখনও ভারতবর্ষ, আবার কখনও প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের শরণাপন্ন হয়েছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু তাদেরকে নিজেদের দেশে রাখতে রাজি হয়নি প্রায় কোনো দেশের সরকার।

তবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে সামান্য সহানুভূতিশীল হলেও ভারতবর্ষে রোহিঙ্গাদের সরণ দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে দেশের অন্দরে। তাদেরকে অনুপ্রবেশের একটা বড় সমস্যা বলে উল্লেখিত করেছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আর এর মধ্যেই গত 31 মে বেলা 11 টা নাগাদ বাংলাদেশের ভাসানচরে পৌঁছয় জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। আর এই প্রতিনিধি দলে হাইকমিশনার রউফ মাজা এবং বিলিয়ান ট্রিগ সহ 14 জনের একটি প্রতিনিধি দল এই প্রথম রোহিঙ্গাদের অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসে উপস্থিত হলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। আর এই প্রতিনিধি দল আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রোহিঙ্গারা। মূলত অন্ন-বস্ত্র থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান এমনকি প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পর্যন্ত দাবি করে বসেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর ভাসানচরে এহেন বিক্ষোভের মুখে পড়ে রীতিমত স্তম্ভিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। গোটা বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের নোয়াখালি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি দল ভাসানচরে উপস্থিত হতেই রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। একাধিক দাবি জানানোর সাথে সাথে ভাসানচরে থাকতেও অনীহা প্রকাশ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতবর্ষের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

অনেকেই মনে করছেন, নিজের দেশে ভূমিহারা হয়ে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষ এবং অন্যান্য দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন, তারা যদি রীতিমত সেই সমস্ত দেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সমতুল্য ব্যবস্থা দাবি করেন, তাহলে যেকোনো দেশের সরকারের পক্ষেই সেই চাহিদা পূরণ করা রীতিমতো অসম্ভব। তাই আগামী দিনে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বার করতে হবে জাতিসংঘকেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!