করোনা তো বাস ‘শুরুয়াৎ’! আগামী দিনে আসতে চলেছে একের পর এক রোগের ঢেউ? কি ভাবে ঠেকাবে কেন্দ্র? অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য October 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত যে ভাবে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য মহল। কিন্তু করোনার সাথে সাথে এবার দেশে হাজির হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফ্লু। সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্য। একেই করোনার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, তার ওপরে আগমন ঘটেছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ একাধিক সিজনাল ফ্লুয়ের, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন এসে গেল। ইতিমধ্যেই আশঙ্কা জাগিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একইসাথে করোনা এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে দেখে এবার কেন্দ্রীয় সরকার সিজনাল ফ্লুর মোকাবিলায় নতুন গাইডলাইন চালু করল। যেহেতু করোনার লক্ষণ এবং সিজনাল ফ্লুয়ের লক্ষণ একই, তাই আলাদা করে করোনা ও অন্যান্য রোগকে চিহ্নিত করা যাচ্ছেনা এবং উপযুক্ত চিকিৎসাও করা যাচ্ছেনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি চিকুনগুনিয়া ম্যালেরিয়া পর্যাপ্ত হারে বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করোনার সাথে সাথে বহু রোগীর শরীরে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতন নানা রোগ। পরিস্থিতি বোঝার আগেই সংকটজনক হয়ে উঠছে রোগীর অবস্থা। তাই এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন অনুসারে করোনা টেস্ট এর সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া টেস্টও করাতে হবে। কারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, পেট খারাপ, বমি, গলা ব্যথা, দুর্বলতা যেরকম করোনার লক্ষণ বলে জানা যায়, সেরকমই এগুলি ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াসহ সিজনাল ফ্লুয়েরও লক্ষণ। আপাতত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে করোনার পাশাপাশি ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া চিহ্নিত করার জন্য NVBDCP এবং সিজনাল ফ্লুয়ের পরীক্ষার জন্য NCDC প্রোগ্রামের কথা বলা হয়েছে আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে। তবে চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়িয়েছে অন্য। করোনার পাশাপাশি এবার যদি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রভাব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনার কোন চিকিৎসা বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। অন্যদিকে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু সহ অন্যান্য রোগকে কিভাবে প্রতিহত করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আপাতত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন কতটা সাহায্য করবে সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -