প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণে যখন সারাদেশে হাহাকার শুরু হয়েছে, প্রতিদিন চার হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে শুরু করেছে, সেই সময়েই জাহির হলো বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক। বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি অত্যন্ত বিপদজনক ভাইরাস। যা করোনার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে প্রাণঘাতী। এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে ৬০ % মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

এবছরের শুরুর দিকেই রাশিয়ার একটি পোলট্রি ফার্মে ছড়িয়ে পড়েছিল এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। রাশিয়ায় সেসময় ৮ লক্ষ মুরগিকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ভারতের বেশ কিছু স্থানেও সে সময় এভিয়ান ফ্লুর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। দিল্লির বেশ কিছু মাংস বাজার দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তারপর এই আতঙ্ক ক্রমশ কমে আসে। কিন্তু সম্প্রতি আবার এই আতঙ্ক মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

বার্ড ফ্লু পাখিদের থেকে মানুষের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগে আক্রান্তের মৃত্যুর হার করোনার তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণেই এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু এলাকার পোল্টি ফার্মে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করেছিলেন। ভোপালের জাতীয় উচ্চ নিরাপত্তা প্রাণী রোগ ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রায়পুরের একটি একটি পোল্ট্রি ফার্মে সম্প্রতি এর সন্ধান পাওয়া গেছে।

পাঞ্জাবেও এর খোঁজ মিলেছে। খোঁজ পেতেই সেখানকার বেশকিছু পোল্ট্রি ফার্মকে সংক্রামিত এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাঞ্জাবে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিষয়টি দেখভাল করবে। কোন জীবিত বা মৃত পাখি, হাঁস মুরগির মাংস, ডিম বা অন্যকোন সামগ্রী পাঞ্জাব থেকে বাইরে আমদানি, রপ্তানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমনের মধ্যেই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সন্ধান যথেষ্ট আতঙ্কিত করে তুলছে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষকে।