এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একযোগে তৃণমূলের ৭ হেভিওয়েট বড়সড় শাস্তির মুখে! চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাসকদলের অন্দরমহলে!

একযোগে তৃণমূলের ৭ হেভিওয়েট বড়সড় শাস্তির মুখে! চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাসকদলের অন্দরমহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় শাসক দলের প্রতি অভিযোগের শেষ নেই বিরোধী দলগুলির। যত দিন যাচ্ছে, রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীদল। করোনা আবহের শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। করোনা আবহে রেশনিং দুর্নীতি হোক কিংবা আমফান পরবর্তী ত্রাণ দুর্নীতি, সব নিয়েই বিরোধীদের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে। অন্যদিকে রাজ্যের সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, সেই সূত্রে এবার শাসক দল দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের প্রত্যেককে। দুর্নীতি বন্ধ করাই যে বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানা গেছে। এবার দুর্নীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল জলপাইগুড়িতে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে একসঙ্গে সাত নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। আর এবার ধুপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ সিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো দল।

রাজেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দল বিরোধী কাজ এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন ওতপ্রোতভাবে। অভিযোগ উঠেছে, রাজেশ সিং সরকারি প্রকল্পে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে রীতিমত অনিয়ম এবং দুর্নীতি করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির টাকার কুড়ি শতাংশ শেয়ার পেতেন তিনি। এছাড়াও এই শেয়ার আরো যাঁরা পেতেন, তাঁরা হলেন কাউন্সিলর গৌতম বসাক, বিপ্লব ঘোষ, অরূপ দে এবং মুনমুন বসু। লকডাউনের মাঝেই রাজেশ এবং তাঁর দুর্নীতির সঙ্গীরা দুর্নীতি আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ক্রমশ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যায় এবং দলীয় নেতৃত্বের কাছে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে রাজেশ সিংহ তার সঙ্গী সাথীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের। আর তার পরেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জলপাইগুড়ি তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী সাত জনকে শোকজ করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজেশ সিংহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি চক্রান্তের শিকার। অবশ্য তৃণমূলের এই কড়া পদক্ষেপের সম্পর্কে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির মন্তব্য বেশ উল্লেখযোগ্য।

তাঁদের মতে, তৃণমূলে এতটাই দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে যে ক্রমশ শোকজ করতে করতে দল একেবারে উঠে যাবে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল যেভাবে দুর্নীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে তৃণমূল শিবির যেভাবে দুর্নীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এটা এক প্রবল প্রচেষ্টা। তবে দুর্নীতি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে কতটা শাসকদল অবস্থা আয়ত্তে আনতে পারবে, সেদিকে কিন্তু লক্ষ্য রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!