এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবহাওয়া > একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থার মধ্যেই আবার দুঃসংবাদ, আসছে এবার বান

একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থার মধ্যেই আবার দুঃসংবাদ, আসছে এবার বান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন আর শেষ হওয়ার নয়। সদ্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবাংলার উপকূল অঞ্চল। আর তারপর থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে। আর তার সাথেই এবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাজ পড়ার পরিসংখ্যান। বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানিও ঘটেছে বাংলার বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যে চিন্তা বাড়িয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। পাশাপাশি প্রাকৃতিক নিয়মে কোটালের বান পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যেভাবে রাজ্যজুড়ে ইদানিংকালে বাজ পরছে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈদ্যুতিক বোমার সাথে তুলনা করেছেন। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী 26 তারিখ আবার বান আসছে। যথারীতি বানভাসি হবার সম্ভাবনা থাকার দরুন হুগলি, আরামবাগ, খানাকুল, উলুবেড়িয়ার মতন বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে তিনি আগে থেকেই সাবধান করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, গতকাল কলকাতা এবং জেলা জুড়ে 179 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা এককথায় রেকর্ড সৃষ্টিকারী। অন্যদিকে বিহার, ঝাড়খন্ডেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন- বিহার, ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে বাঁধের জল ঢুকে যায় পশ্চিমবঙ্গে এবং তার ফলে মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়ে। একইসাথে জানা যাচ্ছে, বানের জলে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান ও মেদিনীপুরের কিছু অংশ ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে। বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত 10 টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়।

সেক্ষেত্রে উত্তর কলকাতার সাথে সাথে দক্ষিণ কলকাতাতেও বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির তীব্রতা অনেক বেশি ছিল দক্ষিণ কলকাতায়। বেহালা, কালীঘাট, বালিগঞ্জ, মোমিনপুর, তপসিয়ার মতন এলাকায় 100 মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার এই অঞ্চলগুলি ইতিমধ্যেই জলে ডুবে গিয়েছে। শুধু দক্ষিণ কলকাতার এই অঞ্চলগুলিই নয়, পুরো কলকাতাজুড়ে প্রায় একই অবস্থা। আপাতত এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে অপেক্ষা করছে আরও বৃষ্টি কারণ বর্ষাকাল চলছে। সেই সূত্রে সাধারণ মানুষকে সাবধান থাকার কথাই বলা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!