প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে পা রাখতে চলেছে উত্তরকন্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক চলার পর এবার নিউ নর্ম্যালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা বিধি মেনে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিওদের নিয়ে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করতে চলেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য পড়েছেন দোটানায়।

সম্প্রতি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে একটি চিঠি লেখেন। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রশাসনিক বৈঠকে মাননীয় শ্রী অশোক ভট্টাচার্যকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। অন্যদিকে অশোক ভট্টাচার্যর সাথে সাথে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির কাছেও প্রশাসনিক বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অশোক ভট্টাচার্যরা পড়েছেন কার্যত দ্বিধায়।

এ প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিনি শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত হেতু চিঠি লিখেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠকে থাকা নিয়ে তিনি আলাদা করে কোনো বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে অশোক ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, দীর্ঘ পাঁচ বছরের মধ্যে আগে কোনদিনও তাঁদেরকে প্রশাসনিক বৈঠকে থাকার কথা বলা হয়নি। তাই এবার তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা এই মুহূর্তে আলোচনা সাপেক্ষ।

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে অশোক ভট্টাচার্য এদিন উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণের জন্য অশোক ভট্টাচার্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আপাতত অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন কি থাকবেন না, সেই সিদ্ধান্তের দিকেই নজর সবার। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে বলাই যায়, মুখ্যমন্ত্রী এবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পাশে পেতে চাইছেন শিলিগুড়ির বাম প্রশাসককে। তবে সমস্তটাই অশোক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে।