এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পিএফের ক্ষেত্রেও আধার বাধ্যতামূলক – অস্বস্তিতে রাজ্যের 15 লক্ষ গ্রাহক

পিএফের ক্ষেত্রেও আধার বাধ্যতামূলক – অস্বস্তিতে রাজ্যের 15 লক্ষ গ্রাহক


নতুন বছরের শুরুতে এবার এরাজ্যেও পিএফ সংক্রান্ত টাকা গ্রাহকদের দেওয়ার ক্ষেত্রেও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফওর পক্ষ থেকে গত পয়লা জানুয়ারি 2019 থেকেই এই নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এখন থেকে সমস্ত প্রেমেন্ট প্রক্রিয়া অনলাইন মারফতই করা হবে। আর এই অনলাইন প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক হিসেবেই রাখা হবে। আর এই আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করার ঘোষণাতেই এখন তৈরি হয়েছে প্রবল সমস্যা হয়েছে।

কেননা বাস্তবে খোঁজ নিলে যাবে যে, এই রাজ্যে পিএফ গ্রাহকদের মধ্যে মাত্র 49.80 শতাংশ মানুষের আধার সংযোগ রয়েছে। ফলে এই আধার সংযোগ না থাকা 15 লক্ষ 22 হাজার গ্রাহক ঠিক কিভাবে এই পিএফের টাকা তুলবেন তা নিয়ে একটা সমস্যা থেকেই যাবে। ফলে এই অবস্থায় দাড়িয়ে কতটা সঠিক কার্যকর ভূমিকা নেওয়া যাবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন অনেকেই।

কিন্তু হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? জানা গেছে, গ্রাহকদের পাশাপাশি কর্মপদ্ধতিকে আরও সহজ করে তুলতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে পিএফ গ্রাহকদের জন্য একটি নম্বর বরাদ্দ করা হচ্ছে। যেই নম্বরটি প্রত্যেক গ্রাহকের ক্ষেত্রে আলাদা। আর সেই নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বর যোগ করার জন্যই পিএফের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এই রাজ্যের সিংহভাগ গ্রাহকই এখনও সেখানে ঠিকমত সাড়া দেননি বলে জানা গেছে। কেননা গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, এই রাজ্যে মোট 30 লক্ষ 32 হাজার 136 জন পিএফ গ্রাহকদের মধ্যে আধার সংযোগ হয়েছে মোটে 15 লক্ষ 10 হাজার 256 জনের।

তবে সারা রাজ্যের নিরিখে সংখ্যাটা এরকম হলেও কলকাতায় অবশ্য 60.3 শতাংশ মানুষেরই আধার সংযোগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে সবথেকে কম আধার সংযোগ হয়েছে দার্জিলিঙে।

দেখা গেছে, এখানকার প্রায় 30.65 শতাংশ মানুষের আধার সংযোগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে পশ্চিমবাংলায় আধার সংযোগের হার কমলেও দেশের মধ্যে সবথেকে বেহাল দশা রয়েছে আন্দামান ও নিকোবরে। যেখানে পিএফ নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগের প্রক্রিয়া থেকে ব্রাত্য রয়ে গেছেন প্রায় 77.18 শতাংশ গ্রাহক।

এদিকে পিএফের পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে সকল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে ইউএএনের সাথে আধার যুক্ত করার বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও এই ভাবে আধার সংযোগ না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। কিভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতার এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন রিজিওনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য্য বলেন, “দিল্লি থেকে গত মাসেই ইপিএফওর মুখ্য কমিশনার আমাদের সঙ্গে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্স করে নির্দেশ দিয়েছেন যে, এ বছর থেকে অনলাইনে সমস্ত ক্লেম মেটাতে হবে এবং সেক্ষেত্রে আধার থাকা বাধ্যতামূলক।

তবে এই কাজ এমন কিছু কঠিন নয়। আমরা আশা করছি, গ্রাহকরা নিজেদের স্বার্থেই এবার দ্রুত আধার সংযোগ করিয়ে নেবেন।” সব মিলিয়ে পিএফের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আধার সংযোগ করিয়ে ঠিক কিভাবে তা বাধ্যতামূলক করা হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!