এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের 68 লক্ষ কৃষককে বিশেষ অনুদান পাঠাতে রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই ব্যবস্থা করে ফেলল কেন্দ্র

রাজ্যের 68 লক্ষ কৃষককে বিশেষ অনুদান পাঠাতে রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই ব্যবস্থা করে ফেলল কেন্দ্র

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের তরজা যেন থামছে না কিছুতেই। বিভিন্ন কাজে একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুই সরকারই। নিজেদের কৃষকদরদী সরকার বলে মাঝেমধ্যেই জনসভায় কৃষকদের উন্নতিকল্পে রাজ্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এমনকি সারাদেশে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কৃষকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, আর তার থেকে বাংলা অনেক ভালো দিকে রয়েছে বলেও জানান বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু এই সমস্ত বক্তব্য ভ্রান্ত ধারণা বলে প্রমাণ করতে এবার রাজ্যের প্রাথমিক অনুমোদন ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গের 68 লক্ষ কৃষককে সরাসরি সাহায্য করতে চলেছে কেন্দ্র।

সূত্রের খবর, “পিএম-কিষান” প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় 68 লক্ষ্য কৃষক তাদের নাম লেখাতে পারবেন। যেখানে বছরে তারা 6000 টাকা করে পাবেন। যে অর্থ পুরোটাই দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত রাজ্যের কৃষকরা এই প্রকল্পের বাইরে রয়েছেন, তাদের নাম নথিভুক্ত করে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষিমন্ত্রক তাদের গতি বাড়াতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক লড়াই চলার কারণে এই পিএম-কিষান প্রকল্প এখানে ঠিকঠাক পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার সরাসরি রাজ্যের কৃষকদের সাহায্য করতে কেন্দ্রের তরফে এই উদ্যোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই চাপ সৃষ্টি করা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

বস্তুত, এতদিন এই প্রকল্পে রাজ্যগুলির কাছেই কৃষকদের নাম চেয়ে পাঠান হত। কিন্তু এবার সরাসরি কৃষকরা যাতে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের আবেদন করতে পারে, তার জন্য একটি নতুন পোর্টাল খুলল কেন্দ্রীয় সরকার। “পিএমকিষান.গভ.ইন” নামে এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমির খাজনার রশিদ এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে। আর এপর সেখানে ওটিপি আসার পরই সেই নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে। আর সেই নাম নথিভুক্ত হয়ে যাওয়ার পরই তা ভেরিফিকেশনের জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অনলাইন পোর্টাল চালু করলেও কি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা কেন্দ্রের এই সুবিধা পাবে! কেননা এতদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প চালু করতে বলা হলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাতে সামিল হয়নি। যার ফলে রাজ্যের কৃষকরা সেইভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। তবে যদি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে চালু করা এই নিয়মেও রাজ্য রাজি না হয়, তাহলে আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা বিজেপিকে অনেকটাই রাজনৈতিক সুবিধা দেবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

সেক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষ থেকে খুব সহজেই প্রশ্ন করা যাবে যে, তৃণমূল নিজেদের মুখে কৃষকদরদী বলে প্রমাণ করলেও বাস্তবে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উন্নতি করলেও তাতে সায় দিচ্ছে না রাজ্য। ফলে সেদিক থেকে কেন্দ্রের এই প্রকল্পে সায় দিলেও কিছুটা চাপে পড়বে রাজ্য, আবার না সায় দিলেও বিপাকে পড়তে হবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখন শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া আসে! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!