জি বাংলার বিখ্যাত টক-শো “দাদাগিরি” মন জয় করেছে প্রত্যেকেরই। কিন্তু বিখ্যাত ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় সেই “দাদাগিরি” থেকে মানুষ তাদের অজানা অনেক কিছু জানতে পারলেও বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে যে দাদাগিরি শুরু হয়েছে, তা দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে উঠছেন সকলে।

আইনের রক্ষক হিসেবে আমরা পুলিশকে বিবেচিত করে থাকি। কিন্তু যাদের হাতে আইন রক্ষার দায়িত্ব, সেই আইন রক্ষকদের ওপরই যদি আঘাত আসে শাসক বাহিনীর! শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় বর্তমানে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জগতবল্লভপুর এলাকায়।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে সুশোভন ঘোষাল এবং আরও এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার দেখতে পান যে সন্ধ্যাবাজারে প্রবল চেঁচামেচি হচ্ছে। আর জটলা মেটাতে নিজেদের কর্তব্য অনুযায়ী তারা সেখানে গিয়ে দেখেন যে, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বেচারাম বসু মদ্যপ অবস্থায় সেখানে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আর এরপর তারা সেখান থেকে জটলা সরিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পরে সেই সুশোভন ঘোষাল নামে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে নিজের সাঙ্গপাঙ্গদের এনে প্রবল মারধর করেন তৃণমূলের ওই উপপ্রধান।

যার পরেই এলাকাজুড়ে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তার মস্তিষ্কপ্রসূত সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রয়োগ করে গ্রামেগঞ্জে অশান্তি ঠেকানোর উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন, সেখানে তার দলের উপপ্রধান সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর আঘাত করায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বেচারাম বসুকে। কিন্তু অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হলেও সকলে একটাই প্রশ্ন করছে, যেখানে আইনের রক্ষকরাই তৃণমূলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না, সেখানে কি করে সাধারন মানুষ রক্ষা পাবে!