এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের খুনের রাজনীতি শুরু তৃণমূলের! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

ফের খুনের রাজনীতি শুরু তৃণমূলের! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিরোধী কর্মীদের শেষ করে দেওয়া, তাদের খুন করা, এই তো তৃণমূলের রাজত্বের পরিচয়। যে করেই হোক, বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করতে হবে, এটাই তৃণমূলের রাজনৈতিক এজেন্ডা। বারবার এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। বর্তমানে দুর্নীতি তৃণমূলকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেছে। পঞ্চায়েতে কিছু জায়গায় তৃণমূল জয়লাভ করতে পারলেও, বেশ কিছু জায়গায় তাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসক দল বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। আর এর মাঝেই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে এক বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যুর পরেই রীতিমত গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল তাকে।

প্রসঙ্গত, এদিন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরে এক বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। যেখানে শুভদীপ মিশ্র নামে এক বিজেপি নেতাকে গাছে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আর তারপরেই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, শুভদীপ মিশ্রের জনপ্রিয়তার সঙ্গে পেরে উঠছিল না রাজ্যের শাসক দল। যার কারণেই তাকে এভাবে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একাংশের মতে, সব জায়গায় তো গায়ের জোরেই ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু যে সমস্ত জায়গায় তারা সেটা করতে পারেনি, সেখানেই বিজেপি নেতাদের এবার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আর এই নিকৃষ্ট রাজনীতি করার জন্য তৃণমূলকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, অবিলম্বে এই মৃত্যুকে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। রাজ্য পুলিশের ওপর কোনো ভরসা নেই। তারা যে করেই হোক, তদন্তকে ভুল দিকে পরিচালিত করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুবিধা করতেই এই পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। যেভাবে বিজেপি কর্মীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং তার প্রাণ নেওয়া হয়েছে, তার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। তাই অবিলম্বে নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে পথে নামবে রাজ্যের বিরোধী দল। তৃণমূলের এই হিংসার মুখোশ এবার সামনে আনতেই হবে। গোটা রাজ্যকে এভাবেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে রাজ্যের শাসক দল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বারবার আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। প্রতি মুহূর্তে তারা বিজেপি কর্মীদের শেষ করে দিতে সমস্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে হাতে রেখে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কখনও কেস দিয়ে, আবার কখনও বা তাদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দিতে তৃণমূলের চেষ্টার শেষ নেই। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরেও সেই ঘটনাই ঘটলো। তবে এই ঘটনার পেছনে কাদের ভূমিকা রয়েছে, তা দেখার জন্য অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা উচিত। আর যেখানে তৃণমূল জড়িত নেই বলেই দাবি করছে, সেখানে তাদের তো এই তদন্তে ভয় থাকার কোনো কথা নেই। তাই তৃণমূল যদি সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাহলে বুঝতে হবে যে, বাঁকুড়ায় বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় কোনো না কোনো ভাবে জড়িয়ে পড়ছে এই রাজ্যের শাসক দল। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!