প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অবশেষে বেশ কিছুদিন আগে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তবে জামিন হলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে নারদ মামলা নিয়ে মুখ খোলার বিধিনিষেধ রয়েছে তাদের কাছে। পাশাপাশি আদালতে তাদেরকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই মত করেই আজ শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিতে দেখা গেল নারদ মামলায় কিছুদিন আগেই জামিন থেকে মুক্তি পাওয়া রাজ্যের চার নেতা মন্ত্রীকে।

স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের নির্দেশ মেনে আজ সেখানে হাজিরা দিয়েছেন এই চার হেভিওয়েট। বলা বাহুল্য, এখনও পর্যন্ত নারদ মামলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। অন্য রাজ্যে যাতে এই মামলা নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য তৎপরতা অবলম্বন করেছে সিবিআই। আর এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ মেনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিতে দেখা গেল জামিনে মুক্ত চার হেভিওয়েটকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মন্ত্রী নিজেদের সমস্ত সরকারি কাজে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে জামিনে মুক্ত হলেও এখনও পর্যন্ত শারীরিক সমস্যা রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের।

সেক্ষেত্রে দলের নির্দেশে বর্তমানে গৃহবন্দি হয়েছেন তিনি। তবে এই সমস্ত কিছুর বাইরে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এদিন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রের পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও আদালতের নির্দেশ মেনে হাজিরা দিতে হয়। তবে চার হেভিওয়েট এদিন আদালতে হাজিরা দিতে না দিতেই নানা মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল‌।

তাহলে কি আবার কোনো নতুন জটিলতা তৈরি হতে চলেছে? কিন্তু শুধুমাত্র আইনের বেড়াজাল এবং আদালতের নির্দেশেই যে তাদের এই হাজিরা, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। আর এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে চার হেভিওয়েট এই হাজিরা দিলেন। তবে অন্য রাজ্যে এই নারদ মামলা নিয়ে যাওয়া নিয়ে যে এখনও পর্যন্ত কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে এই চার হেভিওয়েটের, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।