এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রামমন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন করায় একাধিক ধারায় মামলা পুলিশের! অবশেষে জামিন বিজেপি নেতার

রামমন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন করায় একাধিক ধারায় মামলা পুলিশের! অবশেষে জামিন বিজেপি নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ৫ ই আগস্টের দিনটি ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের দিন। অযোধ্যা সহ দেশজুড়ে ছিল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এদিন লকডাউন করবার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। রাম পূজনের দিনটিকে লকডাউনের বন্ধন থেকে মুক্ত করতে রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ আর্জি জানাতে দেখা যায় বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন সহ রাজ্য বিজেপিকে। কিন্তু তাদের আর্জি অমান্য করে সংঘাতের বাতাবরণ জিইয়ে রাখে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের।

রাজ্য সরকারকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়েই লকডাউনের দিনেও রাজ্য বিজেপি রাজ্যের নানা স্থানে রাম পুজো, রাম যজ্ঞের প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করে দেয়। এই আবহে ৫ই আগস্ট বুধবার বীরভূম জেলার সিউড়ির আরটি মোড় এলাকায় কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে খড়গহস্ত হয় পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, বিজেপির নেতাকর্মীরা সেদিন মাস্ক ছাড়াই পথে নেমেছিলেন। পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, জোর করে তাঁদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুলিশের। এরপর বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক উত্তম বাবু সহ ১২ জন বিজেপি ১২ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশকে তার কাজে বাধা দেবার অভিযোগের মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর গ্রেফতার করা হয় উত্তম বাবুকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি থানায়। উত্তম বাবুর গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে বীরভূম জেলা বিজেপির অন্দরে। উত্তম বাবুকে থানায় দেখতে উপস্থিত হন বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল ও সেই সঙ্গে বেশকিছু বিজেপি কর্মী-সমার্থকও উপস্থিত হন সিউড়ি থানায়। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ, বহু অনুরোধের পরেও কেবলমাত্র শ্যামাপদ মন্ডল কেই থানায় প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। উত্তম বাবুর সঙ্গে দেখা করার পর থানার বাইরে এসে শ্যামাপদ বাবু পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুরে জানান, “পুলিশ বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। অন্যায় ভাবে আমাদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে এবং জেলার সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে।”

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল উঁচিয়ে শ্যামাপদ বাবু আরও জানান যে, অল্প কিছুদিন আগেই বীরভুক্ত জেলার গ্যাংটে গ্রামে জনৈক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে তার বাড়িতে বোম পর্যন্ত ফাটানো হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর আসল অভিযুক্তদের সন্ধান না করে পুলিশ গ্রেফতার করে দুজন বিজেপি কর্মীকে। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন শ্যামাপদ বাবু জানিয়েছেন, “বিরোধী পক্ষের (তৃণমূল) যদি কেউ গ্রেফতার না হয়, তাহলে দু-এক দিনের মধ্যে পাঁচ হাজার লোক এনে থানা ঘেরাও করব।” তবে শ্যামাপদ বাবুর বক্তব্য ও সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারির জবাবে পুলিশকে সেভাবে কোন বার্তা দিতে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা পুলিশের জনৈক কর্তা বলেছেন, “কোনও রাজনৈতিক নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেব না।”

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তম বাবুকে গ্রেফতারি সূত্রে সিউড়ি আদালতে আনা হয়েছিল। আদালতে বিচারক উত্তম বাবুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ প্রসঙ্গে সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী অসীম কুমার দাস জানিয়েছেন, ” অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। বিচারক সব দিক বিবেচনা করে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!