বন্দর-পুরসভার দীর্ঘদিনের চাপানউতর মিটিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ ফিরহাদ হাকিমের কলকাতা রাজ্য December 8, 2018 কথায় আছে, “দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।” আর এবারে জীবনের এই আপ্তবাক্যকেই স্মরণ করে দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাইতো কলকাতা পৌরসভা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার উদ্যোগী হলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে এই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে কলকাতা পৌরসভার তীব্র মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গঙ্গার ভাঙন ঠেকানো থেকে শুরু করে কলকাতার বন্দর এলাকায় রাস্তা কে তৈরি করবে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল প্রবল দ্বন্দ্ব। জানা যায়, এই কলকাতার পোর্ট ট্রাস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা। ফলে অন্যান্য প্রকল্পে যেমন দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যকে সাহায্য করা হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিল রাজ্য সরকার, ঠিক তেমনি কেন্দ্রের অধীনস্থ পোর্ট ট্রাস্টও রাজ্যের উন্নয়নে সাহায্য করছে না বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে তোপ দাগা হয়েছিল। আর যার জেরে এই দুই কর্তৃপক্ষের বিবাদ কার্যত উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এভাবে তো আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় না! আর তাই এবারে কলকাতা পৌরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষ- কে কার কাছে ঠিক কত টাকা পাবে তা ঠিক করে দেওয়ার জন্য দুই সদস্যের কমিটি করে দিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানা গেছে, কলকাতা পৌরসভার সম্পত্তি কর সহ বিভিন্ন পরিষেবা খাতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের কাছ থেকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা পাবে, আবার অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার কাছে বিভিন্ন খাতে অর্থ পাবে বন্দর কর্তৃপক্ষও। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর, গত বুধবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমারের সঙ্গে পুরভবনে একটি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। আর এর পরই কলকাতা পৌরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের চিফ ম্যানেজার এবং কলকাতা বন্দরের অ্যাকাউন্ট বিভাগের প্রধানকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি কমিটি করে দেন ফিরহাদ হাকিম। বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী দু’মাসের মধ্যেই এই কমিটি তাদের সমস্ত রিপোর্ট জমা দেবে। তাহলে কি অবশেষে কলকাতা পৌরসভা বনাম কোলকাতা বন্দরের এই দূরত্ব ঘুচবে? এদিন এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “একটি জল প্রকল্পের জমি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের পাশে একটি জমিতে আবর্জনা তৈরি নিয়ে কিছু সমস্যা চলছিল। যৌথ পরিদর্শনের পর রিপোর্ট দেওয়া এবং সমস্যা মিটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে। আর তাই তার তালিকা সামনে রেখে কোন রাস্তা কে ঠিক করবে তা ঠিক করে নেওয়া হয়েছে।” এমনকি গঙ্গার ভাঙন রোধ করতে পার রক্ষার কাজে এই কলকাতা পৌরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সব মিলিয়ে এখন বন্দর ও পুরসভার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মেটাতে দুই সদস্যের কমিটি করে আদৌ কোনো সমাধান হয় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -