এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফিরহাদের পরিবারের পর এবার সুব্রতর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা, কি বললেন তিনি

ফিরহাদের পরিবারের পর এবার সুব্রতর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা, কি বললেন তিনি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সকলেই বলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গুরু। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অভিভাবক হিসেবে মানেন, তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হোক বা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে কোনো দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রশাসনিক কাজে হয়ত বা বাইরে যাচ্ছেন। তার শরীর কিছুটা অসুস্থ। আর সেই সময় হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুব্রতবাবুকে প্রশ্ন করলেন, “সুব্রতদা বৌদি যাচ্ছে তো! খাবার দাবার ঠিকমতো নিয়েছেন তো! ঠিক আছে। বৌদি গেলে আমার কোনো চিন্তা নেই।”

আর দলের সহকর্মী হোক বা রাজনৈতিক শিক্ষক, সকলের জন্যই যে তিনি তার সৌজন্যেটুকু বরাদ্দ রাখেন, তা বহুবার প্রমাণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অভিভাবকের মত সব সময় পাশে থাকা সুব্রত মুখোপাধ্যায় তার চোখের সামনে জেলবন্দি। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা ফিরহাদ হাকিম শ্রীঘরে দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের সহকর্মী মদন মিত্র এবং প্রাক্তন সহকর্মী শোভন চট্টোপাধ্যায় আজ করাদের ভেতরে।

এই অবস্থায় তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও মন যে ভালো নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, তা বলাই যায়। তবে দলের নেতা এবং মন্ত্রীরা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই সহকর্মী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দুজনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে আশ্বাস বার্তা দিতে দেখা গেল নেত্রীকে।

সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে দেখা করার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দাবাণী মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষন ধরে দুজনের মধ্যে কথা হয় বলে খবর। আর সেখানেই ছন্দাদেবীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছে সুব্রতদা। অন্যায় ভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। মনের জোর রাখুন। শরীরের দিকে নজর দিন। এটা রাজনৈতিক লড়াই চলছে।” আর তৃনমূল নেত্রীর এই এই ফোনালাপকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

একাংশ বলছেন, এর আগে মদন মিত্র থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীঘরে থাকার সময় তাদেরকে এড়িয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি উঠেছিল। পরবর্তীতে তারা জেল থেকে বেরোনোর পর তাদের গতিবিধি নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। দলের একাংশ দাবি করেছিলেন, সেভাবে শ্রীঘরে যাওয়ার পর এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের পরিবারের পাশে থাকতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু এবার গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হতেই কখনও বা তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আবার কখনও বা ফোনে সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এই লড়াইয়ে তিনিও থাকছেন। বর্তমান সময় এমনিতেই গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা অনেকটাই হতাশ। কবে তারা শ্রীঘর থেকে মুক্তি পাবেন, এখন সেই নিয়েই বর্ষিয়ান নেতা মন্ত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। আর এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নারদ মামলার শুনানি স্থগিত রাখার মত ঘটনা সামনে এসেছে। শুক্রবার সেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

কিন্তু মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে যাওয়ার কথা শুনেই রীতিমত বিরক্ত এবং আশ্চর্য হয়ে ওঠেন ধৃত হেভিওয়েটরা। আর এই পরিস্থিতিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারদের মধ্যেও শুরু হয় উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি। তাই বর্ষিয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সহধর্মীনিকে ফোন করে যাতে কোনোভাবেই তিনি ভেঙে না পড়েন, তার জন্য বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সময়টা পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরী। কেননা সুব্রত মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের সঙ্গী নয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান-পতনে তিনি বরাবর তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে থেকেছেন। এখন সেই তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রতবাবু। সেদিক থেকে তিনি শ্রীঘরে থাকার সময় তার পরিবারের পাশে যদি না দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে তা নিয়ে নানা কথা উঠতে পারে।

তাই সৌজন্যের পরিচয় সব সময় দিয়ে যাওয়া তৃণমূল নেত্রী ফিরহাদ হাকিমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সহধর্মীনির সঙ্গে সেরে নিলেন কথা। দিলেন আশ্বাস। নিজের কথার মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি সবসময় সুব্রতবাবু এবং তার পরিবারের পাশে আছেন। যা কিছুটা হলেও এই সংকটজনক এবং হতাশাজনক মুহূর্তে সুব্রতবাবুর সহধর্মিনী ছন্দাবাণী চট্টোপাধ্যায়ের মনে বিশ্বাস যোগাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!