এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গান্ধী-আম্বেদকরের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে একাসনে বসিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন অমিত শাহ

গান্ধী-আম্বেদকরের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে একাসনে বসিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন অমিত শাহ

ভারতবর্ষের ইতিহাসে সমাজ সংস্কারকদের কথা আমরা সকলেই জানি। বিভিন্ন সময় সমাজে বিভিন্ন কু-প্রথা থেকে সমাজ সংস্কারক সমাজকে মুক্ত করেছে। এদের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়, মহাত্মা গান্ধী, বি আর আম্বেদকর, জ্যোতিবা ফুলে, সাভারকার প্রত্যেকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এদের পাশে এবার নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে এসে বিতর্কে জড়ালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তার দাবি, এনাদের মত মোদিও একজন সমাজ সংস্কারক। বস্তুত, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল আইন চালু হওয়ার পরে দিল্লিতে আজ অমিত শাহের একটি বিশেষ বক্তৃতা সভার আয়োজন করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গবেষণা সংগঠন। সেখানে উপস্থিত কর্তা ব্যক্তিরা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে সমাজের দুই মহাপুরুষ হিসেবে মেলে ধরেন।

অবশ্য অমিত শাহ তিন তালাকের বিষয় অথবা অনুচ্ছেদ 370 অবলুপ্তির বিষয়ে নিজে কোনো কৃতিত্বই গ্রহণ করেন, বরং এদিন রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে বর্তমান কংগ্রেসের নেতৃত্বকে একেবারে তুলোধোনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি সমাজ সংস্কারকদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকে অভিহিত করেন অমিত শাহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন আলোচনায় প্রসঙ্গক্রমে অমিত শাহ বলেন, “আমার নেতা নরেন্দ্র মোদী। তিন অসুর থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে চাইছেন। তিনি সমাজ সংস্কারক। তিন তিনবার সংসদ গেলেও হার মানেননি। কংগ্রেসের তোষনের রাজনীতির সামনে মুসলিম মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন।” এর পরেই অমিত শাহ গান্ধী, সাভারকার এদের কথা তুলে নিয়ে বলেন, “এরাও অতীতে সমাজ সংস্কারের জন্য কাজ করেছিলেন।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তাকে মাথায় রেখেই বিজেপি নিজেদের সরকারের কড়া পদক্ষেপগুলিকে জনসাধারণের সন্মুখে নিয়ে গিয়ে জনতার আস্থা অর্জন করতে চেষ্টা করবে তা বলাই বাহুল্য। জন্মলগ্ন থেকে গেরুয়া শিবিরের তিনটি মূল লক্ষ্য, রাম মন্দির, অনুচ্ছেদ 370 বিলোপ, সম নাগরিক সন্ধিকা অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত এই বিজেপি নেতা।

তিনি বলেন, “বিজেপি 3 মহৎ উদ্দেশ্যের মধ্যে ধারা 370 এ আমরা সফল হয়েছি। সম নাগরিক অধিকারের প্রথম ধাপ তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলোপ এবং রাম মন্দির মামলার শুনানি প্রত্যহ সুপ্রিম কোর্টে চলছে। আর আগামী দিনে এই সমস্ত বিষয়কে হাতিয়ার করে আগামী দিনে বিভিন্ন রাজ্যগুলির বিধানসভা ভোটে যেতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা বলার অবকাশ রাখে না।

উল্লেখ্য, সেদিনের বক্তব্যে অমিত শাহ তুলে ধরেন, “400 আসন নিয়েও রাজীব গান্ধী তিন তালাক বিলোপ করেননি। কংগ্রেস আজও বলছে কুপ্রথা থাকা চাই। কিন্তু সমাজে এই কুপ্রথাগুলোকে বন্ধ করা উচিত বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আমিও হিন্দু, কিন্তু আমি মনে করি সতী প্রথা ও পণপ্রথা বন্ধ হওয়া উচিত।”

কিন্তু এইখানে বিরোধীরা মনে করছেন, বিজেপির একটি অংশ সম্প্রতি বলেছিল, রামমোহন রায় ব্রিটিশদের পদলেহন করতে সতীদাহ প্রথার গুনাগুনও তাদের কণ্ঠে শোনা যায়। বিরোধীদের প্রশ্ন, এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও কেন শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব চুপ ছিল! কিন্তু অমিত শাহের এই মন্তব্যের পরে মনে করা হচ্ছে, বিজেপি তাদের আগামীদিনের পথের জন্য যথাযোগ্য রসদ পেয়ে গেছে। যা নিয়ে তারা আগামী নির্বাচনগুলোর বৈতরণীকে অতি সহজেই পার করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!