প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গরু পাচার ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত চলছে রুদ্ধশ্বাসে। তদন্তে প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন দিক। বারবার নানা চাঞ্চল্যকর বিষয়ে সামনে চলে আসছে। সম্প্রতি, সিবিআইয়ের আধিকারিকের জানতে পেরেছেন যে, গরু পাচার ও কয়লা পাচারের অবৈধ অর্থ খাটানো হত টলিউডে। টলিউডের দুই নামজাদা অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির। সিবিআই আধিকারিকদের এই দাবিতে শোরগোল পড়ে গেছে শিল্পীমহলে।

সিবিআইয়ের তদন্তের জানা গেছে যে, ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি বা লালা গরু ও কয়লা পাচারের অবৈধ অর্থের কিছুটা অংশ টলিউডে খাটান। এমনকি এই টাকাতে টলিউডের কিছু সিনেমাও নাকি তৈরি হয়েছিল। এরসঙ্গে দুই নামজাদা টলিউড অভিনেত্রী জড়িত ছিলেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে। সম্প্রতি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন। এগুলো এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বেশ কিছু তথ্য, প্রমান ফরেনসিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, দুর্গাপুরের একটি হাসপাতাল ছিল অনুপ মাঝি ও বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দুই অভিনেত্রীর যোগাযোগ রক্ষার স্থান। এই হাসপাতালেও গরু পাচার ও কয়লা পাচারের বেশকিছু টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে জনৈক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অবৈধ অর্থের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই টলিউড অভিনেত্রী কি ভূমিকা পালন করেছেন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়জন হলে এই দুই অভিনেত্রীকে তলব করবে সিবিআই।

জানা গেছে এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে রোজভ্যালি কাণ্ডের যোগ ছিল। রোজভ্যালি কাণ্ডে তাঁকে একাধিকবার সিবিআই, ইডির অধীকারিকেরা তলব করেছিলেন। বারবার তাঁকে জেরা করা হয়েছিল। জানা গেছে যে, সমস্ত সিনেমাতে রোজভ্যালির অর্থ বিনিয়োগ করেছিল, সেখানে রোজভ্যালির সঙ্গে মধ্যস্থতা করেছিলেন এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে, অপর অভিনেত্রী সম্প্রতি বাইপাসের ধারের এক বহুতলের বাসিন্দা। তিনিও একজন নামজাদা অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গেও অনুপ মাঝি ও বিনয় মিশ্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

গরু পাচার ও কয়লা পাচার কান্ডের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অনুপ মাঝি ও বিনয় মিশ্রের ঘনিষ্ঠ এক হিসাব রক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই এমন বিস্ফোরক বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গরু পাচার ও কয়লা পাচার কান্ডের অবৈধ অর্থের একটি অংশ যে সিনেমার পেছনে খাটানো হয়েছিল, সে বিষয়টি এই হিসাব রক্ষকের কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এরপর, এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এই দুই অভিনেত্রীর কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এই দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠতা এরপর সামনে চলে আসে গোয়েন্দাদের। তারপরই শুরু হয় তার তদন্ত।