এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গেরুয়া শিবিরে আতঙ্ক! গত দুদিনে প্রাণের ভয়ে পদত্যাগ একের পর এক মোট ৪০ প্রভাবশালী নেতার!

গেরুয়া শিবিরে আতঙ্ক! গত দুদিনে প্রাণের ভয়ে পদত্যাগ একের পর এক মোট ৪০ প্রভাবশালী নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের শীর্ষপদে বসেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, কাশ্মীর থেকে সংবিধানের 370 ধারা বিলোপ করে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে কাজে এগোয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয় দেশজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা কাশ্মীরকে মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার’ মোড়কে। ধীরে ধীরে কাশ্মীর আবার স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে কিনা তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

বিরোধীরা আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে 370 ধারা বিলোপ করলে কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। বিরোধীদের সেই দাবির দিকেই ইঙ্গিত করে বেশ কিছুদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে পরপর সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় থাকছেন বিজেপি নেতারা। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গত মাসের 8 জুলাই বান্দিপোরায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন বিজেপি নেতা ওয়াসিম বারি, তার ভাই ওমর শেখ এবং তার বাবা বশির।

এরপর গত চৌঠা আগস্ট বিজেপি প্রধান আরিফ আহমেদ শাহ কুলগাম জেলায় জঙ্গীদের হামলায় গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে। এরপর 6 আগস্ট দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ড এলাকায় বিজেপির নেতা তথা প্রধান সাজ্জাদ খান্ডেকে বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বান্দিপোরার ঘটনার ঠিক এক মাস পর গত 9 আগস্ট ওমপাড়া বডগ্রামে বিজেপি কর্মী হামিদ জামাল নাজরের ওপর সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন এই বিজেপি কর্মী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একের পর এক বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার বিজেপির নেতা ও কর্মীরা লাগাতার ইস্তফা দিয়ে চলেছেন কাশ্মীরে। সম্প্রতি মধ্য কাশ্মীরের গান্দরবল জেলা থেকে বিজেপির 6 জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহে গেরুয়া শিবিরের দলের নেতা ও কর্মী মিলিয়ে প্রায় 40 জন ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, আতঙ্ক ও সন্ত্রাসের কারণে এই ইস্তফা চলছে লাগাতার। তবে বিজেপির মহাসচিব রাম মাধব কাশ্মীরের নেতাকর্মীদের জন্য সুরক্ষার বন্দোবস্ত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকদের মতে, কাশ্মীরের সবাইকে সুরক্ষিত করা এইভাবে সম্ভব নয়।

তবে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় যারা রয়েছেন, তাঁদের আলাদা করে সুরক্ষা দেওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বিজেপি নেতাদের 16 ই আগস্ট পর্যন্ত সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল অস্থায়ীভাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কাশ্মীরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের কিভাবে সুরক্ষা দেওয়া যাবে?

যেভাবে কাশ্মীরে বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে হত্যা করছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি তার তীব্র নিন্দা চলছে দেশজুড়ে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীরা এই মুহূর্তে যে বিজেপির একাধিক নেতাকে তাঁদের হিটলিস্টে রেখেছে, তা একের পর এক ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় এবার মোদি সরকার কাশ্মীরের বিজেপি নেতাদের বাঁচাতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেদিকে নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!