এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে অভিষেকের তীব্র উত্থান কি দলের অনেক হেভিওয়েটকে ‘বিদ্রোহী’ করে তুলবে? বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলে অভিষেকের তীব্র উত্থান কি দলের অনেক হেভিওয়েটকে ‘বিদ্রোহী’ করে তুলবে? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলার রাজনীতিতে বর্তমানে যে শব্দটি বহুল পরিচিত, সেটি হল- পিসি-ভাইপোর যোগ। বলাইবাহুল্য, এই শব্দগুচ্ছটি কাদের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেকথা সবার জানা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই দাবি তৃণমূল শিবিরে বর্তমানে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে শুধুমাত্র এই পিসি-ভাইপোর মধ্যেই, অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে।

অনেকেরই দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ দেখাতে গিয়ে দলের ক্ষতি করছেন। তবে এই অভিযোগ তৃণমূল ত্যাগীদের অনেকাংশের, যার মধ্যে অন্যতম অর্জুন সিং। অন্যদিকে মুকুল রায়ের দল ছড়ার পেছনেও অনেকে অভিষেককেই দায়ী করেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই দাবি, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীও যেভাবে দল থেকে দূরে সরে রয়েছেন তার একমাত্র এবং অন্যতম কারণ হলো অভিষেকের হঠাৎ উত্থান।

তৃণমূল থেকে চলে যাওয়া সৌমিত্র খান বিজেপি শিবির থেকে তো সোজাসুজি মমতা অভিষেক জুটিকে নিয়ম করে কটাক্ষ করে থাকেন। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিংও রাজনৈতিক জগতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি নেতা হিসেবে মানতে পারেননি। তাই তিনি দল ত্যাগ করে বিজেপিতে গেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের আবার অনেকেই বলেন, তৃণমূল নেত্রী মুকুল রায়ের জায়গায় নিয়ে আসতে চলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই আগেভাগেই মুকুল রায় দল ছেড়ে চলে যান বিজেপিতে। তবে ইদানিংকালে তৃণমূল শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠেছে, শুভেন্দু অধিকারী কেন দলে থেকেও সমান্তরালভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন? আর এর জন্য প্রকারান্তরে দায়ী করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।

তৃণমূল শিবিরে সম্প্রতি যে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে সেখানেও শুভেন্দুর ক্ষমতা ছাঁটাই হয়েছে বলে মত অনেকের। আর সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যে আরো ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো সে ব্যাপারে নিশ্চিত সবাই। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃণমূল নেত্রী শুধুমাত্র স্বজনপোষণের দিকেই তাঁর চিন্তাভাবনা কেন্দ্রীভূত করছেন না তো? সেক্ষেত্রে তৃণমূল দল ভেঙে যাবার আশঙ্কা থাকছে। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলকে বিশাল বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে। তবে একথা অনস্বীকার্য, তৃণমূল শিবিরে ভাঙন শুরু হলে অবধারিতভাবে বিজেপি তার সুযোগ নেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!