এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মিতালীর বিজেপি যোগে হাঁসফাঁস অবস্থা মমতার? দুই মন্ত্রীর মতানৈক্য স্পষ্ট ঘাসফুলে!

মিতালীর বিজেপি যোগে হাঁসফাঁস অবস্থা মমতার? দুই মন্ত্রীর মতানৈক্য স্পষ্ট ঘাসফুলে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধুপগুড়িতে তৃণমূলের টিকিটে লড়লেও পরাজিত হন মিতালী রায়। তবে তারপর থেকে দল তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যার কারণে এবার সেই ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি ঠিকমতো দলের হয়ে প্রচার করেননি। তবে অরূপ বিশ্বাস তাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করলেও এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেন সেই মিতালী রায়।

এদিকে মিতালী রায়ের এই বিজেপিতে যোগদানকে তৃণমূল খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, এসব নিয়ে ভোট বাক্সে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে মুখে তৃণমূল যাই বলুক না কেন, মিতালী রায়ের দলবদল যে ভোটের মুখে ধুপগুড়ি রাজনৈতিক সমীকরণে কিছুটা হলেও বদল আনবে এবং বিজেপিকে বাড়তি মাইলেজ যোগাবে, তা সময় অনুসারে ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হন ধুপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়। তবে তার এই যোগদানকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, মিতালী রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জন্যেই তাকে এবারের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন মিতালী রায় তৃণমূলের দুচোখের বিষ হলেও, সেই মিতালী রায়কে নিয়ে কিন্তু তৃণমূলের সক্রিয়তার শেষ ছিল না। দুদিন আগেও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই ধূপগুড়িতে প্রচার করতে এসে মিতালী রায়কে সক্রিয় করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই মিতালীদেবীর নাম নিয়েছিলেন। ফলে এখন সেই মিতালীদেবী বিজেপিতে যাওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে হয়তো ফিরহাদ হাকিম বড় বড় কথা বলছেন। হয়তো নিজের দলের হয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আদতে মিতালী রায় যে ফ্যাক্টর, তা বিগত বেশ কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে পরিষ্কার বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

বিজেপির দাবি, মিতালী রায় এখন তৃণমূলের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু একদিন আগেও সেই মিতালী রায়কে নিয়ে তৃণমূলের সক্রিয়তার অভাব ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসা এই মিতালীদেবীর একটা নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। এমনকি এই এলাকায় রাজবংশী মানুষের আধিক্য থাকার কারণে মিতালী দেবী যথেষ্ট প্রভাবশালী। ফলে তিনি বিজেপিতে আশায় বিজেপি যে শক্তিশালী হবে এবং এখানে বিজেপির ভোট বাড়বে, তাতে নিশ্চিত গেরুয়া শিবির। তবে তৃণমূল এখন ববি হাকিমকে দিয়ে মিতালী রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁসফাস অবস্থা বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একদিকে অরূপ বিশ্বাসের পক্ষ থেকে মিতালী রায়কে সক্রিয় করা এবং অন্যদিকে সেই মিতালী রায় দলবদল করার পরেই ববি হাকিমের পক্ষ থেকে তাকে কটাক্ষ করা। দুই মন্ত্রীর দুই ধরনের চেষ্টায় এবং বক্তব্য তৃণমূলের অন্দরের আড়াআড়ি বিভাজনের রেখাকে আরও স্পষ্ট করেছে। ফলে ধুপগুড়ির ভোটের মুখে মিতালী রায়ের দলবদল নিয়ে তো এমনিতেই ব্যাকফুটে তৃণমূল। তার মধ্যে দুই মন্ত্রীর দুই ধরনের বক্তব্য এবং উদ্যোগ ঘাসফুল শিবিরকে চরম বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!