এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে কি তৃণমূলকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা? বিজেপির ভাঙনের খবরে তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে কি তৃণমূলকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা? বিজেপির ভাঙনের খবরে তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরে কিন্তু একের পর এক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর সেই যোগদানের গতি অনেক বেড়ে যায় বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এসে। এক ধাক্কায় তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট বিজেপিতে চলে যান। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকেই। গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার পরেই তাঁদের জন্য বিজেপি পুরস্কারস্বরূপ হাতে দেয় নির্বাচনে লড়াইয়ের টিকিট। কিন্তু নির্বাচনের সেই লড়াইয়ের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগই হেরে গিয়েছেন। অন্য দল থেকে আসা মাত্র পাঁচজন জয় পেয়েছেন। এই অবস্থার শোনা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ভাঙনের খবর।

অনেকেই তৃণমূলে ফেরার জন্য ব্যতিব্যস্ত বলে জানা যাচ্ছে। অনেকেই যেমন প্রকাশ্যে যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন রেখেছেন দলে ফেরার জন্য। আবার কয়েকজন নিজে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। প্রসঙ্গত, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হাতে ছিল 3 জন বিধায়ক। তার মধ্যে দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়ায় উপনির্বাচন হয় সেখানে। উপনির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল জিতে যায়। কিন্তু ভাটপাড়া, দার্জিলিং, কৃষ্ণগঞ্জ এবং হবিবপুরে উপনির্বাচনে বিজেপি যেতে। ফলস্বরূপ, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হয়ে যায় 6, অন্যদিকে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে 33 জন বিধায়ক আসেন।

তার জেরেই গেরুয়া শিবির থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের হাতে রয়েছে 39 জন বিধায়ক। যদিও শুভেন্দু এবং রাজীব বিজেপিতে যোগদান করার আগেই নিজেদের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, তৃণমূল প্রার্থীপদে স্থান না পেয়ে রাতারাতি দল ছেড়েছিলেন সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যসহ অনেকেই। তবে সবাই যে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন তা নয়, 18 জন বিজেপির প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন। যার মধ্যে জয় পেয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিশ্বজিৎ দাস, মিহির গোস্বামী, তাপসী মন্ডল এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়। পরাজিত হয়েছেন বাকি 13 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের মধ্যে রয়েছে যেমনঃ মুকুল পত্র শুভ্রাংশু রায়, সেরকমই সুনীল সিং, সব্যসাচী দত্ত, সৈকত পাঁজা, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ কুন্ডু, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, জিতেন্দ্র তিওয়ারিসহ অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই রাজীব, সব্যসাচীসহ বেশ কয়েকজন নেতা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর অনেকেই আর বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন না। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রবীর ঘোষালও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন তিনি আর বিজেপি করছেন না পাশাপাশি প্রাক্তন বিধায়কদের অনেকেই ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে দিয়েছেন। যেমন- দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা সহ অনেকেই।

আগেই অবশ্য বিজেপি ছেড়ে দিয়েছিলেন লাভপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার পর তেহট্টর প্রাক্তন বিধায়ক গৌরীশংকর দত্তের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং হাতে যে ক’জনের তালিকা রয়েছে, তাই নিয়ে কিন্তু গেরুয়া শিবিরে চিন্তার ভাঁজ। প্রসঙ্গত, জেতার পরেও মুকুল রায় দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সূত্রের খবর, দলবদল করে বিজেপিতে আসা ছয়জন বিধায়কের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করা যাচ্ছে না দলের পক্ষ থেকে।

তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন উইলসন চম্প্রমারি, নাগরাকাটার প্রাক্তন বিধায়ক সুক্রা মুন্ডা সহ অন্যান্যরা। বলা হচ্ছে অনেকেই নিজেদের ফোন নাম্বারও বদলে ফেলেছেন। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবির কিন্তু এই মুহূর্তে মোটেই স্বস্তিতে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপি শিবির থেকে তৃণমূলে ফিরতে চাইলেও রাজ্যের শাসক শিবির থেকে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, দলবদলকারীরা আপাতত গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাই অন্যতম রাস্তা ধরে নিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!