এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গেরুয়া শিবিরকে তছনছ করার জন্যে মমতা পেয়ে গেলেন তার কাঙ্খিত ‘টাইগারকে’? হাওয়া বদলাচ্ছে উত্তরে?

গেরুয়া শিবিরকে তছনছ করার জন্যে মমতা পেয়ে গেলেন তার কাঙ্খিত ‘টাইগারকে’? হাওয়া বদলাচ্ছে উত্তরে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে পদ্ম ফুটিয়েছে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ ফিরিয়ে নিতে মরিয়া ঘাসফুল দুর্গ। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের হয়ে উত্তরবঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। ডুয়ার্সের অতিপরিচিত নাম এই টাইগার। একসময় রাজেশ লাকড়া বর্তমান বিজেপি এমপি জন বারলার একসময়ের ডানহাত ছিলেন। মূলত ডুয়ার্সের আদিবাসী বিকাশ পরিষদের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন দুজনেই। কিন্তু 2017 সালে পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে জন বার্লা।

কিন্তু রাজেশ সহ অনেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করেন। সেই সময় থেকেই জন ও রাজেশ দুজনের মধ্যে দূরত্বের শুরু। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে রাজেশ সহ সংগঠনের অন্য তিন নেতা সঞ্জয় কুজুর, সন্দীপ এক্কা ও লিউজ কুজুরের সঙ্গে তৃণমূলে নাম লেখান। এবং রাজেশ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপিকে সাবধান করেন। বুধবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের দলীয় সভায় আরও একবার হুংকার দিলেন রাজেশ লাকড়া। এদিনের সভা থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন তিনি। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলা শাসন করবে বাঙালি। কোনও অবাঙালি নয়।

বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে রাজেশ লাকড়া আক্রমণ করেছেন, তা মুগ্ধ করেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পাশাপাশি সভা জুড়ে প্রবল করতালি পেয়েছেন রাজেশ। বর্তমানে রাজেশ লাকড়া চা শ্রমিক ও আদিবাসীদের উন্নয়ন এবং ডুয়ার্সের চা শ্রমিক আন্দোলনে রাজেশকে কাজে লাগানোর জন্য তাঁকে দলের আলিপুরদুয়ার জেলার কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রাজেশকে ব্যক্তিগত রক্ষী দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রাজেশ লাকড়াকে ঘিরে সব সময় বেশ কয়েকজন তীর-ধনুকসহ আদিবাসী যুবককে দেখা যায়। সর্বক্ষণের জন্য তারা রাজেশকে গার্ড দিয়ে রাখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

টাইগারের স্পষ্ট কথা গোর্খারা যেভাবে চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী খুকড়ি সাথে রাখেন, ঠিক সেভাবেই আদিবাসীদের ঐতিহ্য হচ্ছে তীর-ধনুক। তিনি তার ওপরেই ভরসা রাখেন। অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে টাইগার হুঙ্কার দিল তাতে ডুয়ার্সের আদিবাসী সমাজ যথেষ্ট সাড়া দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চা শ্রমিকদের পাশাপাশি আদিবাসী ভোট নিয়ে ঊনিশের লোকসভা নির্বাচন জিতেছিল গেরুয়া শিবির।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মনে করা হচ্ছে, সেই আদিবাসী ভোটব্যাংকে কিন্তু এবার চিড় ধরতে পারে। অন্যদিকে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা রাজেশ ওরফে টাইগারকে চিনতে অস্বীকার করেন এদিন। সেক্ষেত্রে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল শিবিরে টাইগার হতে পারে, কিন্তু গেরুয়া শিবিরে সবাই টাইগার। তবে টাইগারের কোন কথার জবাব তিনি দিতে রাজি হননি। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তৃণমূল যেভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল, তা অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাশাপাশি আদিবাসী ভোট আবার নিজেদের দিকে টানতে তৃণমূল যেভাবে রাজেশের ওপর দায়িত্ব দিয়েছে, সে দায়িত্ব অনেকাংশেই করে ফেলেছে রাজেশ বলে মনে করা হচ্ছে আদিবাসীদের ভিড় দেখে। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, গেরুয়া শিবিরের কপালে কিন্তু এবার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। অচিরেই তাঁদের ভোটব্যাংকে চির ধরানোর জন্য মমতা সঠিক সেনাপতি নির্বাচন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের হওয়া এবার কোন দিকে ঘোরে, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!