প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2020 সালে প্রথম ভারতবর্ষে তথা বিশ্বের প্রবেশ করেছিল করোনা ভাইরাস। যে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে ভারতবর্ষকে। প্রথম ঢেউয়ের পর ঢেউ প্রচুর মানুষকে আক্রান্ত করেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রচুর মানুষের। আর এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের উপর জোর দিতে শুরু করেছে সরকার। প্রত্যেক জনসাধারণকে ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেই ভ্যাকসিনের পাশাপাশি অনেকে আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর জোর দিতে শুরু করেছিলেন।

গরম লেবু-মধুর জল খাওয়ার কথা বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের অনেকে নানা টোটকা দিতে শুরু করেছিলেন, এই করোনা ভাইরাস দূরীকরণের জন্য। আর এবার সেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর ভরসা রেখে বড় বার্তা দিল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। যেখানে ঘরে মজুদ থাকা তিল এবং তিসি করোনাকে আটকাতে অনেকটাই শক্তিশালী ভূমিকা নেবে বলে বার্তা দিলেন তারা।

জানা গেছে,আইসিএমআর -এর জাতীয় পুষ্টি বিভাগের দুই অধ্যাপক তিল এবং তিসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে তিল এবং তিস করোনা ভাইরাস আটকানোর জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তার পরেও এই দুটি বস্তু নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ওপর মান্যতা দিয়ে করোনা ভাইরাস আটকানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করেছিলেন সকলে।

যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই সমস্ত আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর ভরসা রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়। তবে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আটকানো শক্তি হিসেবে তিল এবং তিসির যে গুরুত্ব রয়েছে, সেই ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হল।

একাংশ বলছেন, করোনা ভাইরাস ভারতবর্ষে মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকেই নানা আয়ুর্বেদ শক্তি দিয়ে তা দমন করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে নানা আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেখা গেছে একাংশকে। ঘরে ঘরে সেই টোটকা প্রয়োগ করতে শুরু করেছিলেন সাধারণ মানুষ‌। কিন্তু তারপরেও করোনা ভাইরাস আটকানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ভ্যাকসিন চালু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে।

তবে এরপরেও নানা টোটকা সামনে এসেছে। কিন্তু তার মাঝে তিল এবং তিসি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে এবার এই দুই বস্তুর ব্যাপারে সবুজসংকেত দিতে দেখা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। যার ফলে ঘরে যদি মজুদ না থাকে তিল এবং তিসি, তাহলে আজই চটপটকরে আনিয়ে ফেলুন এই দুটি বস্তু।