প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভারত চীন আন্তর্জাতিক স্তরে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে তা স্পষ্ট এতদিনে এই সম্পর্কের অবনতি নিয়ে ইতিমধ্যে কানাঘুষা চলছিল কিন্তু যেভাবে লাদাখ সীমান্তে চীন ভারতীয় সেনাবাহিনী কে আক্রমণ করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে এবার ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক। এবং এই বয়কটের ডাক সাধারণ মানুষ নিজের ইচ্ছায় দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় জওয়ানদের যেভাবে সীমান্তে চীনা সৈনিকের হাতে প্রাণ হারাতে হলো, তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসছে ভারতীয় জনসাধারণ।

আর তার ফল চীন দেশের ওপর অবিরাম ক্ষোভ উদগার। অন্যদিকে গত 15 জুন যেভাবে মধ্যরাত্রে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা শহীদ হলেন তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ভারতের কূটনৈতিক শিবিরেও। সূত্রের খবর, ভারতে এখনো পর্যন্ত মোট কুড়িজন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। অপরদিকে জানা যাচ্ছে, চীনের মোট 43 জন সেনা জওয়ান হতাহত। অন্যদিকে এই মুহূর্তে চীন ভারত সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে ভারতের জনপ্রিয়তম ক্রিকেট লিগ আইপিএল নিয়ে।

কারণ 2018 সাল থেকেই চিনা কম্পানি ভিভোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিসিসিআই। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ভারত চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক যেভাবে অবনতি হচ্ছে, তাতে বিসিসিআইয়ের কপালে এই মুহূর্তে চিন্তার ভাঁজ। যদিও সম্পূর্ণ পরিস্থিতির বিচারে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, যেহেতু আইপিএল বোর্ডের পূর্বসূরিরা টাইটেল স্পন্সর হিসেবে বিভোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তাই এই মুহূর্তে সেই চুক্তিকেই সম্মান দেখাবে বিসিসিআই।

কিন্তু ভবিষ্যতে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে চুক্তি করার আগে অবশ্যই ভারতবর্ষের স্বার্থ কতটা রক্ষা পাচ্ছে সেদিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে এবার থেকে বিদেশী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করার আগে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হবে দেশীয় সংস্থাগুলিকে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন-ভারত সম্পর্কের অবনতি যে হারে হচ্ছে তাতে আগামী দিনে আইপিএল চুক্তি নিয়েও অবশ্যই আলোচনা শুরু হবে। এবার ভারত সরকারও তাদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম পিছিয়ে নেওয়ার পথে চীনের সাথে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে চীনকে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আপাতত দেখার চীনের সাথে ভারতের স্নায়ুযুদ্ধ কতদূর কার্যকর হয়!