এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > গৃহশিক্ষক থেকে বিধায়ক হয়ে ওঠা নির্মল ধাড়া খুলতে চান অবৈতনিক শিক্ষাকেন্দ্র

গৃহশিক্ষক থেকে বিধায়ক হয়ে ওঠা নির্মল ধাড়া খুলতে চান অবৈতনিক শিক্ষাকেন্দ্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। পিতা নয়ন ধাড়া পেশায় ভাগচাষী। খুব কষ্ট করে তাঁর একমাত্র ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়া জেলার কুশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। অভাবে ভরা এই গ্রামে উচ্চশিক্ষার তেমন ব্যবস্থা নেই। সেখানকার বাসিন্দা হয়ে নির্মল ধাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাস করেছেন তিনি।

এরপর গৃহশিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, অনেক কষ্ট করে বাবা তাঁকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। দরকার থাকলেও প্রাইভেট টিউশন থেকে নিতে পারেননি তিনি। এই কষ্ট যাতে গ্রামের অন্য পড়ুয়াদের না হয়, এজন্য খুব কম টিউশন ফি নিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করেছিলেন। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শে অনুপ্রাণিত তিনি। তাঁর কথায়, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে বলেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। এরপর এখন তিনি বিধায়ক হয়ে উঠেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিধায়ক হলেও অত্যন্ত দরিদ্র তিনি। সম্পত্তির পরিমাণ মোট ১৭০০ টাকা। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের দরিদ্রতম প্রার্থী তিনি। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা এখনো তাকে ছাড়তে নারাজ। তাই বিধায়ক হওয়ার পরেও তিনি টিউশন পড়াচ্ছেন। তিনি ঠিক করেছেন, বিধানসভার বেতন পেলে নিজের গ্রামে একটা অবৈতনিক টিউটোরিয়াল সেন্টার খুলবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই কোচিং সেন্টারে গ্রামের শিক্ষিত ছেলেদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করবেন তিনি। তবে এখানে পড়লে কোন বেতন দিতে হবে না। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। অনেকের রোজগার হবে, আবার অনেকের লেখাপড়া হবে।

ছাত্র-ছাত্রীরা নির্মল বাবুকে ছেড়ে দিতে একেবারেই নারাজ। ইংরেজির সঙ্গে সঙ্গে বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল পড়ান তিনি। এক ছাত্রীর কথায়, পঞ্চম শ্রেণি থেকে তাঁর কাছে পড়ছে সে। খুব ভালোবেসে পড়ান তিনি। এখন তিনি বিধায়ক হয়ে গেছেন বলে আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু তাঁর কাছে আর পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে না ভাবলেই মন খারাপ করছে। এক ছাত্রীর পিতা জানালেন, নির্মল বাবু তাদের গর্ব। তার মেয়েকে তাঁর হাতে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত ছিলেন। এখন যদি তিনি টিউটোরিয়াল সেন্টার তৈরি করেন। তবে তাঁর পাশে তিনি দাঁড়াবেন। এতে তাদের ছেলেমেয়েদের মঙ্গল হবে।

শিক্ষক ছাড়াও ভালো খেলোয়াড় হিসেবে, ভালো বক্তা হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম আছে নির্মল ধাড়ার। এখন তিনি এলাকার বিধায়ক। তিনি জানালেন, দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে তিনি বড় হয়েছেন। কিন্তু বিধায়ক হয়েছেন বলে অতীতকে ভুলে যেতে চান না। গোটা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব যেমন তাঁকে সামলাতে হবে, সেইসঙ্গে গ্রামের মানুষের পাশে থাকবেন তিনি। মানুষের স্বার্থে তিনি কাজ করবেন। এভাবেই গৃহশিক্ষক থেকে বিধায়ক হয়ে উঠেছেন নির্মল ধাড়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!