এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > হঠাৎ কেন রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন বাবুল সুপ্রিয়? নিজেই স্পষ্ট করলেন নিজের পদক্ষেপের কারণটি

হঠাৎ কেন রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন বাবুল সুপ্রিয়? নিজেই স্পষ্ট করলেন নিজের পদক্ষেপের কারণটি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বিকেলে হঠাৎ রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তাঁর চমকপ্রদ উত্থান। ২০১৯ সালেও জয়ের ধারা বজায় রাখেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি দুবার। আবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছের মানুষ হিসেবেও তিনি পরিচিত। তবে, তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? এর কারণ নিজেই ব্যক্ত করলেন বাবুল সুপ্রিয়।

কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের কারণে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপরেই যথেষ্ট মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে, এই কারণেই যে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিলেন, তা নয়। তিনি স্পষ্ট করেই জানালেন যে, রাজনীতি কেন তিনি ছাড়তে গেলেন? এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠবেই। মন্ত্রীত্ব চলে যাবার সঙ্গে এর কি কোনো সম্পর্ক আছে? কিছুটা সম্পর্ক নিশ্চয়ই আছে। এ বিষয়ে তিনি তঞ্চকতা করতে চান না। সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেই তা সঠিক হবে বলে, তিনি মনে করছেন, আর এটা করলেই শান্তি পাবেন তিনি।

বাবুল সুপ্রিয় জানালেন যে, ২০১৪ সাল ও ২০১৯ সালের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ২০১৪ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে দার্জিলিংয়ের সাংসদ হয়েছিলেন সুন্দর সিং আলুয়ালিয়া। একমাত্র তিনিই বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু এখন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল। দলে অনেক নতুন উজ্জল তরুণ তুর্কি নেতা যেমন আছেন। তেমনই অনেক প্রবীণ নেতাও আছেন। তাঁদের নেতৃত্বে দল এখান থেকে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এটা বলাই বাহুল্য। তিনি জানালেন, এখন দলে কোন একজন ব্যক্তি বিশেষের থাকা, না থাকাটা কোন বড় ব্যাপার নয়, তা স্পষ্ট হয়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে, এটাই তাঁর দৃঢ় ও সুদৃঢ় বিশ্বাস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, নির্বাচনের আগে কিছু কিছু ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হয়েছিল। দলে থাকলে সেটা হতেই পারে। তার মধ্যে কিছু বিষয় জনসমক্ষে চলে আসে। তার জন্য কোথাও কোথাও তিনি দায়ী । তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন, যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায়ে পড়েছিল। আবার কোথাও কোথাও অন্য নেতারাও ভীষণ ভাবে দায়ী আছেন। কে কতটা দায়ী? সে প্রসঙ্গে তিনি যেতে চান না। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে দলের ক্ষতি যেমন হচ্ছিল, একেবারে জিরো গ্রাউন্ডে দলের কর্মীদের মনোবলকে যে তা কোনভাবেই সাহায্য করছিল না, সেটা বুঝতে গেলে রকেট বিজ্ঞানের মতে জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এই মুহূর্তে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। আসানসোলের মানুষকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে সরে যাচ্ছেন তিনি।

তাঁর এই ফেসবুক পোস্টের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান যে, তিনি কারও ফেসবুক বা টুইটার দেখেন না। কে কোথায় যাচ্ছেন? কি করছেন? তা তিনি কি করে বলবেন? এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, তিনি কী রাজনীতি করবেন? কখন করবেন? কখন ছাড়বেন? এই অধিকার সকলের আছে। বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান যে, তিনি কি ইস্তফা দিয়েছেন? মাসির গোঁফ হলে মেসো না মাসি বলা হবে? আগে তো গোঁফ হোক। তিনি এখনও লোকসভায় আছেন। করলে, করবেন, এরকম খবর রোজ এসে থাকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!