এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট বিজেপি নেতার তৃণমূলে আসা আটকাতে এককাট্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা, পুড়ল বিজেপি নেতার কুশপুতুল

হেভিওয়েট বিজেপি নেতার তৃণমূলে আসা আটকাতে এককাট্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা, পুড়ল বিজেপি নেতার কুশপুতুল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় হাওড়া জেলার অন্যতম তৃণমূল নেতা ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপিতে চলে যান। এরপর তিনি বিজেপির প্রচারসভায় রীতিমত ঝড় তোলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেসময় শুভেন্দু এবং রাজীব দুজনেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নেকনজরে ছিলেন বলেই জানা যায়। কিন্তু এত বৃহৎভাবে প্রচার চালিয়েও বিজেপি সফল হয়নি। এ রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূল সরকারের। আর পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে এগিয়ে গেলেও রাজীব কিন্তু ক্রমশ অন্তরালে চলে যান।

দীর্ঘদিন পর তিনি আবারও সংবাদ শিরোনামে আসেন বিজেপির বিরুদ্ধে একটি সোশ্যাল পোস্ট করায়। পাশাপাশি মুকুল রায় তৃণমূল ফেরার পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিন্তু একের পর এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই সাক্ষাৎ শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করলেও রাজনীতির আঙিনায় কিন্তু এই সাক্ষাৎকারগুলিকে মোটেই সহজ করে দেখা হচ্ছেনা। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডোমজুড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। একাধিক অঞ্চলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যেমন পোস্টার দেখা গিয়েছে, ঠিক সেরকমই এবার ডোমজুড়ে দেখা গেল রাজীব ব্যানার্জ্জীর কুশপুতুল দাহর দৃশ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ হাওড়ার সলপ বাজার এর কাছে হাওড়া আমতা রোডের উপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের একটাই দাবি, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কোনমতেই তৃণমূলে ফিরতে না পারেন। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পুড়িয়ে সে দাবী আরও তীব্রভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও এই সাক্ষাতকারকে দুই পক্ষই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তারপরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে। যদিও সেই নিয়েও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলতে চাননি। তবে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই রাজীবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

তার মধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ রায় অন্যতম। অন্যদিকে তৃনমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রে নেত্রী কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, যারা দলের সঙ্গে গাদ্দারি করে চলে গিয়েছেন তাঁদের কাউকে আর ফেরানো হবেনা। এবং এক্ষেত্রে হাওড়া জেলার তৃণমূল শিবিরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরা যে একপ্রকার অনিশ্চিত জায়গায় যাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাত ধরে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। এখন দেখার রাজীবের তৃণমূলে ফেরার প্রবল চেষ্টা না তৃণমূল কর্মীদের বিরোধিতা- কার মূল্য দলের কাছে দামি হয়ে ওঠে আগামী দিনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!