এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কি কারণে অতিমারীর মধ্যেও আনা হয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট? কি এর প্রকৃত উদেশ্য?

কি কারণে অতিমারীর মধ্যেও আনা হয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট? কি এর প্রকৃত উদেশ্য?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত যেসব প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়ে উঠেছেন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট। দেশে করোনা সংক্রমনের সময়ে নতুন করে সংসদ ভবন নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে, এই প্রকল্পের পেছনে একটি বিরাট রাজনৈতিক পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে। একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আগামী দিনে লোকসভার সদস্য সংখ্যা বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে উত্তর ভারতের বেশকিছু রাজ্য যেগুলোতে বিজেপির শক্তপোক্ত সংগঠন, প্রচুর সমর্থক রয়েছে সেই রাজ্যগুলিতে।

একাধিক সমাজবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, আগামী দিনের ব্যাপকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে চলেছে উত্তর প্রদেশ, বিহারের মত রাজ্যগুলিতে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট অনুপাতে লোকসভার আসন বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে এই রাজ্যগুলিতে। তুলনায় তামিলনাড়ু, কেরল, পাঞ্জাবের মতো বেশ কিছু রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম। সম্প্রতি, সমাজবিজ্ঞানী কার্নেগি এনডাওমেন্ট, মিলন বৈষ্ণব প্রমুখরা গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, ২০২৬ সালে জনসংখ্যার সমানুপাতে লোকসভা আসন কেরালার ক্ষেত্রে ২০ থেকে কমে আসন সংখ্যা কমে চলে যাবে ১২ তে, তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে ৩৯ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩১, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৪২ থেকে কমে ৩৮। কিন্তু উত্তরপ্রদেসের ক্ষেত্রে ৮০ থেকে বেড়ে হবে ৯১, বিহারের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে বেড়ে হবে ৫০।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানী মিলন বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, কোন রাজ্যই লোকসভার আসন সংখ্যা কমিয়ে দিতে সম্মত হবে না। এ কারণে জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আসন বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিহার, উত্তর প্রদেসের মত রাজ্যগুলিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ২০২৬ সালের লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যা ৮৪৮ হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানাচ্ছেন, উত্তর ভারতে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্য যেখানে বিজেপির সংগঠন মজবুত ও সমর্থক সংখ্যা বেশি, সেই রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ফলে সেগুলি থেকে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সুবিধা হবে বিজেপির। অন্যদিকে বিরোধী রাজ্যগুলির আসন সংখ্যা কমে গেলে বাড়তি সুবিধা হতে পারে বিজেপির। এনডিএ জোটের ৩৫২ টি আসনের মধ্যে ১৯৬ টি আসন এসেছে এই রাজ্যগুলি থেকে।

এই অবস্থায় সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট এনে এখন থেকেই লোকসভার আসন সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত করার প্রচেষ্টায় নামতে পারে বিজেপি। ২০২১ এর জনসংখ্যার ভিত্তিতে তা যদি করা হয় সে, ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেসে আসন সংখ্যা ততটা না বাড়লেও বর্তমানের তুলনায় কিছুটা বাড়বে। তবে, এ কাজ করতে গেলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। এতে বিজেপির লোকসভার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবেনা। কিন্তু সমস্যা হতে পারে রাজ্যসভায়। রাজ্যসভার মোট উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। রাজ্যসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের আসন সংখ্যা প্রায় সমানে সমানে। তবে, বিরোধীদের মধ্যে বেশকিছু দল রয়েছে, যারা কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা নাও হতে পারে। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, উল্লিখিত কারণের জন্যই অতিমারীর মধ্যেও আনা হয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট। আর এর পেছনে লুকিয়ে আছে এই বিরাট রাজনৈতিক পরিকল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!