এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “হেরেছে, হেরেছে…” সাসপেন্ড হয়েও মমতার যন্ত্রনা বাড়ালেন শুভেন্দু! লাড্ডু, তিলকে জমিয়ে দিল বিজেপি!

“হেরেছে, হেরেছে…” সাসপেন্ড হয়েও মমতার যন্ত্রনা বাড়ালেন শুভেন্দু! লাড্ডু, তিলকে জমিয়ে দিল বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে একটা সাসপেনশন লেটার ধরিয়ে দিয়ে বিধানসভায় তার মুখটা বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী আর যাই হোক, সেটিং করা বিরোধী দল নেতা তো নন। বিধানসভার ভেতরে তাকে আটকানো যায়, কিন্তু বাইরে তো আটকানো যায় না। তাই যখন অধিবেশনে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী, তখন বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাস্তায় লাড্ডু বিতরণে উপস্থিত। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠলো স্লোগান। কার্যত বিধানসভার সামনের রাস্তা স্লোগান, সাউটিং এবং লাড্ডু বিলির মধ্যে দিয়ে জমিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সোমবার রাজ্য বিধানসভার গেটের সামনে এই জয়ের সেলিব্রেশন করা হবে। সেই মতই আজ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার সামনে রাস্তায় জনসাধারণের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করেন এবং পাঁচ রাজ্যে জয়ের সেলিব্রেশন করেন। শুধু তাই নয়, সেখানে শুভেন্দু অধিকারী একটি স্লোগান তোলেন। তিনি বলেন, “হেরেছে, হেরেছে, মমতা হেরেছে।” অর্থাৎ যে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার অন্যান্য বন্ধু দলগুলো মাতামাতি করেছিলেন, তাদের জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে আগামী দিন যে বিজেপির হতে চলেছে, এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে তাও স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফলে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার ভেতরে বেশে যতই অধিবেশনে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, বাইরের এই দৃশ্য যে তার যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে দেবে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিরোধীদের মধ্যেও।

বিজেপির দাবি, বিধানসভার অধিবেশন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, তার মুখ বন্ধ করবেন। কিন্তু বিরোধী বিধায়করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশনে উপস্থিত হতেই তার মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তারা জয়ের সেলিব্রেশন করেছেন, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন, লাড্ডু বিতরণ করেছেন। আর এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্বালার কারণ। আগামী দিন লোকসভায় হারের জন্য তৈরি হয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নামের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজ বিধানসভার সামনের গেটে হয়তো অন্য রাজ্যের জয় নিয়ে সেলিব্রেশনে মাততে দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদের। কিন্তু এমন একদিন আসবে, যেদিন এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে। আর তখন সেলিব্রেশনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে এই দিন কবে আসবে, তার জন্য অধীর আগ্রহে মুখিয়ে আছেন সকলে। তবে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে লোকসভার পরেই হয়ত এই রাজ্যে ঘটে যেতে পারে বড়সড় পরিবর্তন। বিদায় নিতে পারেন এই ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী। অন্য রাজ্যের হার এবং শোচনীয় পরাজয় নিয়ে তাকে এখন কথা শুনতে হচ্ছে। আগামী লোকসভার পর হয়ত এই রাজ্যেই নিজের দলের করুণ পরিণতি নিয়ে প্রতিমুহূর্তে হতাশ এবং বিষন্ন হতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু অধিকারীর স্লোগান, সাউটিং এবং বিধানসভার গেটের সামনে জয়ের সেলিব্রেশনের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!