হেভিওয়েট বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অভিষেককে নালিশ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 1, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন হুমায়ুন কবীর। তবে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে রীতিমত বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। আর এবার সেই তৃণমূল বিধায়কের অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ রীতিমতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাদের অভিযোগ জানিয়ে দিল। যাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একেবারে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ভরতপুর 2 ব্লকের সাতটি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রধানরা সমবেত হয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। যেখানে এই এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে বিধায়ক বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই সাতটি অঞ্চলের প্রধান যেভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিঠি লিখেছেন, তাতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহল। একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যেখানে দলের আর এক বিধায়কের উদ্দেশ্যে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। আর এবার সাতটি অঞ্চলের প্রধান সেই হুমায়ুনবাবুর বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দেওয়ায় তিনি যে আরও চাপের মুখে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে প্রধানরা সমবেত হয়ে তার বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এদিন পাল্টা সেই সমস্ত প্রধানদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে হুমায়ুনবাবু বলেন, “প্রধানরা কার নির্দেশে অভিযোগ করেছেন, সেটা আমার অজানা নয়। তবে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। এতে আমার মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি করা হচ্ছে। আমাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আমি প্রয়োজনে সাতজন প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” আর একদিকে সাতজন প্রধান এবং অন্যদিকে বিধায়কের এই দড়ি টানাটানি দেখে রীতিমত হতবাক বিশেষজ্ঞরা। দল তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তাতে আগামী দিনে তৃণমূল কিভাবে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে নিজেদের “শৃঙ্খলিত দল” বলে আখ্যা দেবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে একাংশের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -