এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক আবার উস্কে দিলেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, বাড়ছে চাঞ্চল্য

বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক আবার উস্কে দিলেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, বাড়ছে চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই বিজেপি সাংসদের উত্তরবঙ্গনকে আলাদা রাজ্য করার দাবি ঘিরে বিতর্ক বাড়ে। আর এই বঙ্গভঙ্গের দাবি ঘিরে তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়ে গেরুয়া শিবির। প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলে আসছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। কার্যত তিনি এখন মোদির মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। বঙ্গভঙ্গের দাবি উঠলেও এই দাবির সঙ্গে কিন্তু সন্তর্পণে দূরত্ব বজায় রেখেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তা সত্বেও উত্তরবঙ্গের বিজেপি প্রতিনিধিদের একাংশের মুখে বেশ কয়েকবার এই বঙ্গভঙ্গের কথা উঠে এসেছে।

এবারেও কোচবিহারের শীতলকুচি বিজেপি বিধায়ক বঙ্গভঙ্গের বিতর্ককে উস্কানি দিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন নতুন করে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টি তুলে আনলেন তাঁর বক্তব্যে। তিনি অভিযোগ করেছেন, উত্তরবঙ্গকে বরাবর বঞ্চনা করা হয়েছে। একইসাথে পরিত্রাণের কথাও তিনি তুলেছেন। যদিও জেলা বিজেপি ও রাজ্য বিজেপি নের্তৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের দাবি, গেরুয়া শিবির ইচ্ছাকৃতভাবে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টি মাঝে মাঝেই সামনে নিয়ে আসছে। প্রসঙ্গত শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক এদিন দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ভাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই।

একই সাথে কোনো উন্নয়ন হয়নি। মানুষ বঞ্চনার হাত থেকে পরিত্রাণ চাইছে বলে তাঁর দাবী। আর এই বক্তব্যকেই সঙ্গী করে কৌশলে বঙ্গভঙ্গের রাজনীতিকে বিজেপি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, গত এক দশকে কোচবিহার জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মতন বড় প্রতিষ্ঠান হয়েছে। সেতু হয়েছে, রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থা, পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটেছে। এরপরেও বিভিন্ন সময় গেরুয়া শিবিরের নেতারা উন্নয়ন না হবার কথা বলে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেছেন এবং রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা দ্বিচারিতা করছেন। কেউ বলছেন বাংলা ভাগ চাইনা। আবার কাউকে দিয়ে কৌশলে বাংলা ভাগে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলানো হচ্ছে। সবটাই পরিকল্পিতভাবে অশান্তি তৈরীর চেষ্টা। না হলে ওরা উস্কানিমূলক মন্তব্য করা নেতাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা? অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার এক্ষেত্রে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার দাবি কেন উঠছে তা দেখার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর। অবশ্য তিনিও ঠারেঠোরে সমর্থন করেছেন, উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের কথা। তবে একই সাথে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি বঙ্গভঙ্গের দাবির সঙ্গে সহমত নয়।

ঠিক একইভাবে বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবির বঙ্গভঙ্গ চাইছেনা। এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি আবার পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা নিয়ে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন এবং সেক্ষেত্রে উঠে এসেছে মুকুল রায় প্রসঙ্গ। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র শুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, নির্বাচনে হেরে যাবার পর বিজেপি বিভিন্নভাবে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গ নিয়ে এই মুহূর্তে অন্তত কোনো রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরীর বিপক্ষে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের কিছু বিধায়কের সঙ্গে দ্বিমত দেখা যাচ্ছে। আর এখান হেকেই বাড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!