হেভিওয়েট সাংসদকে সতর্ক বিজেপির! বিধানসভার আগে বাড়ছে জল্পনা নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। সিএএ আইন নিয়ে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। দ্রুত সিএএ আইন লাগু করার পক্ষে নিজের মত জানিয়ে আসছিলেন শান্তনু ঠাকুর। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে সেই শান্তনুবাবুর দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে বিজেপির ঐক্যবদ্ধ রুপ অত্যন্ত প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একজন সাংসদ যদি বেসুরো মন্তব্য করেন, তাহলে তা যে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার সেই শান্তনু ঠাকুরকে কার্যত সতর্ক করে দিল বঙ্গ বিজেপি। সূত্রের খবর, সোমবার বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেই বৈঠক থেকেই তাকে সতর্ক করে দেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলে খবর। জানা গেছে, এদিন বিজেপির এই বৈঠকের মাঝ সময় উপস্থিত হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। আর তখনই তার কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চান দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, তার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে সেই বৈঠকে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর এরপরই তাকে এই ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তাকে দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিজেপি যে এখন কোনোমতেই বেসুরো নেতাদের মানবেন না, তা শান্তনু ঠাকুরের মত বিজেপি সাংসদকে সতর্ক করে দেওয়ার ঘটনাতেই আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের শৃঙ্খলা যদি রক্ষা করা না যায়, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূলের মত দলের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্য পাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই দলের সাংসদ যখন বেসুরো মন্তব্য করছেন, তখন তাকে সতর্ক করে দিয়ে সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের বার্তা দিতে চাইল ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের। বৈঠকে কি বরফ গলল? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আমাদের কোনো মতবিরোধ নেই। উনি নিজেও বলেছেন, সিএএ বিজেপি এনেছে। বিজেপিই লাগু করবে। বাকিরা পারবে না।” বস্তুত, সিএএ নিয়ে মন্তব্য করার সময় থেকেই এই শান্তনু ঠাকুর বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সম্প্রতি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। যেখানে আগে সিএএ আইনকে সমর্থন করা হোক, তারপরে তিনি ভাববেন বলে বার্তা দেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। অর্থাৎ তিনি যে কোনোমতেই তৃণমূল কংগ্রেসে পা বাড়াবেন না, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। তবে তার বক্তব্য যে গেরুয়া শিবিরের কাছে দিনকে দিন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল, তা পরিষ্কার। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেই শান্তনু ঠাকুরকে ডেকে রীতিমত সতর্ক করে দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -